মোঃ শাহীন,
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরাবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকায় অবস্থিত আশ্রিত রোহিঙ্গাদের আর আর আরসি কর্তৃক কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে স্থানান্তরিতের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার থেকে।
৬ ফেব্রুয়ারী ২ য় দিনে ৫১ পরিবারের ২৭০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই কার্যক্রম সকাল ১১ টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলমান থাকে।
তুমব্রু কোনার পাড়া জিরো লাইনের আশ্রিত রোহিঙ্গা শিবিরের রোহিঙ্গারা গত ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ আরসা ও আর এস ওর মধ্যে চলা সংঘর্ষে ঘর বাড়ি জালিয়ে দেওয়ার পর চলে এসে তুমব্রু এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়।
৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে কক্সবাজার আর আর আরসি কর্তৃক ৩৪ বিজিবির অধিনস্থ তুমব্রু বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা তুমব্রু সঃ প্রাঃবিদ্যালয়ে আশ পাশে অবস্থানরত বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে রবিবার ৩৫ পরিবারের ১৮০ জন সদস্যকে কক্সবাজার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।
অবশিষ্ট অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ২য় দফায় ৫১ পরিবারের ২৭০ জন ৬ ফ্রেব্রুয়ারি সকাল ১১ টা ২৫ মিনিট থেকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ হতে আর আর আরসি’র নিজস্ব যানবহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারি ২৩ ইং তুমব্রু শূন্য রেখার কোনার পাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে সংঘঠিত সংঘর্ষ ও অগ্নিকাণ্ডের পর উক্ত ক্যাম্পে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু এলাকা বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা জানান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাংগীর আজিজ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার আর আর আর সি শরনার্থী ও ত্রান প্রত্যাবর্তন কমিশনের সমন্নয়ে কাজ চলছে।
শরনার্থী ও ত্রান প্রত্যাবর্তন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর বলেন ক্রমান্বয়ে প্রতিদিন এভাবে শরনার্থী শিবিরের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে নিজস্ব যানবাহনে করে নেওয়া হবে। এভাবে ধাপে ধাপে সকল রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিত করা হবে বলেও তিনি জানান।