ঢাকারবিবার , ৬ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ

জার্মানির মসজিদ সম্পর্কে ছয়টি অজানা তথ্য

প্রতিবেদক
রফিকুল ইসলাম জসিম
১৫ অক্টোবর ২০২২, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

জার্মানিতে মসজিদের সঠিক সংখ্যা জানা যায় না৷ তবে সংখ্যাটি ২,৩৫০ থেকে ২,৭৫০ এর মধ্যে৷ জার্মান ইসলাম কনফারেন্সের গবেষণা বলছে, ২০১৯ সালে জার্মানির ৫৫ লাখ মুসলিমের ২৪ শতাংশ সপ্তাহে অন্তত একদিন মসজিদে গেছেন৷

ইস্তাম্বুলের মুফতির অনুরোধে ১৯১৫ সালে ব্রান্ডেনবুর্গে ভ্যুনশডর্ফ মসজিদ নির্মিত হয়েছিল৷ একে জার্মানি ও মধ্য ইউরোপের প্রথম ইসলামিক ভবন মনে করা হয়৷ মুসলিম যুদ্ধবন্দিদের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল৷ মুসলিমদের ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুসলিম বন্দিদের অনুভূতি উসকে দিয়েছিল সেই সময়কার জার্মান সাম্রাজ্য৷ পরে তাদের শপথ পড়িয়ে ‘পবিত্র যুদ্ধে’ পাঠানো হয়েছিল৷ ১৯৩০ সালে মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়৷

জার্মানির প্রথম মসজিদটি ভেঙে ফেলার কারণ ১৯২৮ সালে বার্লিনের ভিলম্যার্সডর্ফে নির্মিত হওয়া এই মসজিদটি (ছবি)৷ পাকিস্তানের লাহোরের আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের জন্য মসজিদটির নকশা করেছিলেন জার্মান স্থপতি কার্ল আউগুস্ট হেয়ারমান৷ এটি এখনও টিকে আছে৷ সে হিসেবে এটি জার্মানিতে টিকে থাকা মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো৷

২০১৭ সালে বার্লিনে ইবনে রুশদ-গ্যোয়েটে মসজিদ নির্মিত হয়৷ সেখানে নারী-পুরুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন৷ নারীরা সেখানে খুতবাও দিতে পারেন৷ ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণকারী তুর্কি-কুর্দি বংশোদ্ভূত জার্মান আইনজীবী, লেখক ও নারী অধিকারকর্মী সেইরান আটেশ এই মসজিদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা৷ এমন মসজিদ নির্মাণের কারণে তিনি কয়েকবার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন৷ তাই এখন সবসময় তাকে পুলিশি নিরাপত্তায় থাকতে হয়৷

জার্মানির মসজিদ পরিচালনায় থাকে বিভিন্ন মসজিদ সংস্থা৷ এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ও সবচেয়ে বড় সংস্থা হচ্ছে ডিটিব৷ এটি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট একটি সংস্থা৷ এর ইমামরা মূলত তুরস্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন৷ সমালোচকরা অনেকদিন ধরেই ডিটিবের আওতাধীন মসজিদগুলোর সমাবেশে তুরস্কের প্রভাব নিয়ে সতর্ক করে আসছেন৷ ছবিতে ডিটিব পরিচালিত জার্মানির অন্যতম বড় কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদ দেখা যাচ্ছে৷

জার্মানির বেশিরভাগ মসজিদই বাইরে থেকে চেনা যায় না বা বোঝা যায় না৷ কারণ সেগুলো কোনো ভবনের পেছনে অবস্থিত৷ একটি সরু গলি দিয়ে সেখানে ঢুকতে হয়৷ আর বেশিরভাগ মসজিদেই মিনার থাকে না৷

জার্মানির কমবেশি প্রায় আড়াই হাজার মসজিদের মধ্যে মাত্র ৩০টিতে মসজিদ থেকে নিয়মিত আজান দেয়া হয়৷ বাকিগুলোতে আজান দেয়ার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি৷ আজানবিরোধীদের যুক্তি, এতে শব্দদূষণ হয় এবং এর মাধ্যমে ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশ করা হয়৷ তাদের যুক্তি, আজানের একটা ধর্মতাত্ত্বিক অর্থ আছে, যেটা গির্জার ঘণ্টাধ্বনির মধ্যে নেই৷

298 Views

আরও পড়ুন

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ পরিবারকে নগদ সহায়তা দিলেন এমপি প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক

দোয়ারাবাজার উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আনন্দ ভ্রমণ

জুলাই-আগস্ট ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তির মাস: হোসেন আলী

সুনামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মধ্যনগর বি.পি.উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন এর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

সেঞ্চুরিয়ান লিও ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

গাইবান্ধায় প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

কাপাসিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘মনগড়া অপপ্রচার’: শাহপরীর দ্বীপ জেটি ইজারা বিতর্কে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দিলেন জামায়াত নেতা ফারুক

চকরিয়ায় দাঁড়িপাল্লার ব্যাপক গণসংযোগ

ইসলামী আদর্শে বলীয়ান যুব শক্তির বিকাশে গাজীপুরে ঐতিহাসিক যুব সম্মেলন