আসুন একজন আলেম যেমনি হোক তাকে আলেমের মর্যাদা দেই। নিচের কথা গুলো খুবি মূল্যবান। অনেক ভালো লেগেছে। মনযোগ দিয়ে পড়ুন সকলে। উলামায়ে কেরামের সমালোচনা প্রসঙ্গে মাওলানা ইলয়াস ঘুম্মান হাফিযাহুল্লাহুর মূল্যবান বয়ানের অনুবাদ
“একটা কথা পরিষ্কার বুঝে নিন। প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে, ঘরে-বাইরে আমি কখনই কোনো আলেমের বিরুদ্ধে একটি শব্দও বলি না। এমনকি যারা আমার সমালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধেও আমি টু শব্দ বলি না। কাজেই আলেমদের বিরুদ্ধে আপনারাও আপনাদের মুখ বন্ধ রাখুন।
যত আগে আপনি আপনার মুখ বন্ধ করতে পারবেন, তত বেশি পূর্ববর্তী প্রজন্ম আপনার মুখ থেকে নিরাপদ থাকবে। বলুন, উলামায়ে কেরাম ছাড়া আর কে আছেন, যিনি আমাদের কাছে এই দ্বীন পৌঁছাবে? আমাদেরকে আর কে দ্বীন শেখাবে?
আমি একটি উদাহরণের সাহায্যে কথাটি বোঝাচ্ছি। যদি কোনো চোখের ডাক্তার মারা যায় আর তার একমাত্র সন্তান অন্ধ হয় তাহলে ওই ডাক্তারের উত্তরাধিকার সম্পত্তি কে পাবে? অন্ধ ছেলে পাবে, না বাইরের কোনো সুস্থ লোক পাবে? ছেলে অন্ধ হোক বা চক্ষুষ্মান হোক, সর্বাবস্থায় সেই ওয়ারিস হবে।
বাবা যদি কুস্তিগির, পালোয়ান হয়। আর তার ছেলে দুর্বল বিকলাঙ্গ হয় তাহলে ওয়ারিস কে হবে? যত বিকলাঙ্গই হোক, পঙ্গুই হোক, সর্বাবস্থায় সেই ওয়ারিস হবে। আমি এই উদাহরণ দিয়ে বুঝাই যে, আলেম যে মানেরই হোক, সে সর্বাবস্থায় নবির ওয়ারিস। আলেম ছাড়া অন্য কেউ নবির ওয়ারিস হতে পারে না। যে মানেরই হোক, আলেম সর্বাবস্থায় আলেম। কাজেই আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের জবান সংযত রাখুন। আলেমদের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলবেন না। জবান বন্ধ করুন। আপনার মুখ নিয়ন্ত্রিত রাখুন। সংযত রাখুন।
পুরো পৃথিবীতে আজ বদতমিজির ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আলেমদের আঁচলে কালিমা লাগিয়ে দাও। উম্মতকে আলেমদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলো। যদি এ কাজ করতে পারো তাহলে তোমার কাজ আসান।
যদি জনসাধারণকে আলেমদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হও তাহলে যে কোনো ফেতনায় তুমি তাদেরকে নিয়ে যেতে পারবে। এর বিপরীতে যদি আলেমদের ওপর সাধারণ উম্মতের আস্থা থাকে তাহলে কোনো ফেতনাই তাদেরকে গুমরাহ করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদেরকে এ কথা বোঝার তাওফিক দিন।”
অনুবাদক: মুহতারাম আবদুল্লাহ আল ফারুক