ফিচার: আজ ২৯ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক কফি দিবস’। বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলে কফি দিবস বা কোথাও কোথাও জাতীয় কফি দিবস নামেও পরিচিত। বিশ্ব ব্যাপী এই দিনটি ২৯ সেপ্টেম্বর পালিত হয়ে থাকে। তবে কোন কোন দেশে এ তারিখে ভিন্নতা দেখা গেছে। এই দিনটিতে কফিপ্রেমীরা তাদের প্রিয় এই পানীয়টি উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পান করে থাকেন।
কফি (ইংরেজি: Coffee) বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় পানীয়। পানির সাথে ফুটিয়ে রান্না করা ‘কফি বীজ’ নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুঁড়ো মিশিয়ে কফি তৈরি করা হয়। এই বীজ কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ। প্রায় ৭০টি দেশে এই ফলের গাছ জন্মে।
কফি শরীরের জন্য বেশ উপকারি। ক্যাফেইনের অনেক উপকারিতা রয়েছে এর মধ্যে। কিন্তু খালি পেটে কফি শরীরের পক্ষে মারাত্মক। আর তা যদি হয় ব্ল্যাক কফি, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক গুন বেড়ে যায়।
ঘুম থেকে উঠে সরাসরি কফি পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। শুধু তাই নয়, রাতভর শরীরে নানা রকম প্রক্রিয়া চলার কারণে পাকস্থলিতে অতিরিক্ত অ্যাসিড ক্ষরণ হয়। এই অবস্থায় খালিপেটে কফি পড়লে গা গুলোনো ও বমির মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই দিনের যে সব সময় দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে, তখন কফি পান করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অর্থাত্ সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত কফি খাওয়ার আদর্শ সময়। তবে লাঞ্চ বা ডিনারের পর কফি এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। চলুন জেনে নেই কফি পানের উপকারিতা-
বুদ্ধিমান করে তোলে
কফির একটি মনস্তাত্ত্বিক উদ্দীপক রয়েছে যা মানসিক শক্তি, মেজাজ উন্নত করার ক্ষমতা রাখে। এভাবে আপনাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিমান ও স্মার্ট করে তোলে। কফি পান করলে অ্যালজেইমারজাতীয় রোগের ঝুঁকি কমে। এটি মস্তিস্কের অন্যান্য রোগের আক্রমণও প্রতিহত করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
হৃদযন্ত্রের প্রদাহ কমায় ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস এড়াতে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কফি পান করেন, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কম থাকে।
ক্ষুধা হ্রাস
কফি পানে আমাদের খাবার গ্রহণের আগ্রহ কমিয়ে দেয় ও দীর্ঘ সময় কর্মশক্তি দিয়ে ক্লান্তি দূর করে। এজন্য আমরা যখন ওজন কমাতে ডায়েট করি তখন কফি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
চোখের জন্যও ভালো
কফি পানে আমাদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয় এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। হার্ভাড মেডিকেল বিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের মতে, যারা দিনে দুই থেকে তিনবার কফি পান করেন তারা কম হতাশায় ভোগেন। কফির মূল উপাদান ক্যাফেইন এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। যারা কফি পান করেন না তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।