মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা :
দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬ টি ট্রাকে একদিনেই এলো ৫০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ। আমদানির খবরে একদিনেই কেজিতে কমেছে ২০ টাকা ।
হিলি শিপিং ট্রের্ডাস ও সততা বাণিজ্যলায় নামের দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভারতের বিহার রাজ্যে থেকে এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করছে। শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে কাঁচা মরিচ বোঝাই ভারতীয় ট্রাক প্রবেশের মধ্যে দিয়ে আমদানির কার্যক্রম শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন ।
এর আগে গেল বছর ১০ নভেম্বর ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ হয়। দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে আবারো ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। হিলি স্থলবন্দরে দুই আমদানিকারক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২০০০ টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কাঁচা মরিচ আমদানির খবরে আজ দুপুরে হিলি বাজারে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বতমানে ২২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রয় হচ্ছে। যা গতকালকে বিক্রয় হয়েছে ২৩০-২৪০টাকা কেজি দরে।
বন্দরে মরিচ কিনতে আসা পাইকাড় আব্দুল হামিদ বলেন,দীর্ঘ সময় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধের পর আজ আবারো আমদানি শুরু হয়েছে।আমরা এখান থেকে মরিচ ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাই। ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি খবরে বাজারে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে মরিচ বিক্রি হচ্ছে।
আমদানিকারক মাহাবুব আলম বলেন, দীর্ঘ দিন বন্ধের পর নতুন আইপি পাওয়ায় আজ দুপুরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের বিহার রাজ্যে থেকে মরিচ গুলো আমদানি করা হচ্ছে। এতে ডিউটি পড়ছে ২৮ টাকা ১০ পয়সা।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান,দেশের বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হিলি স্থলবন্দরের দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টন কাঁচামরিচ আমদানির আইপি দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও খামার বাড়ি।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক জামিল হোসেন চলন্ত বলেন,ভারতের বিহার রাজ্য থেকে আমদানি করা এসব কাঁচা মরিচ প্রতি মেট্রিক টনের এলসি ভেলু দেখানো হয়েছে ১৫০ থেকে ২শ মার্কিন ডলার। তবে কাস্টমসে শুল্কায়ন হচ্ছে প্রতি মেট্রিক টন ৫ শ মার্কিন ডলারে। এর ফলে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের শুল্ক গুনতে হচ্ছে ২৮ টাকা।