আমি অনেক বার লক্ষ্য করেছি পবিত্র আল কোরআনে মহান আল্লাহ যখন বলেছেন,আমি অতি ক্ষমাশীল,অনুগ্রহশীল,দয়াময়,করুনাময় ইত্যাদি। এবং তার বান্দার ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।ঠিক তখনি লক্ষ্য করেছি,কোরআনুল কারীমের মোট ৩৫ টি আয়াতে তার পূর্বে তাওবাহ শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।
যেমন,
‘اِلَّا الَّذِیْنَ تَابُوْا مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِكَ وَ اَصْلَحُوْا١۫ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ’
তবে যারা তাওবাহ করে নিজেদের কর্মনীতির সংশোধন করে নেয় তারা এর হাত থেকে রেহাই পাবে। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।(সূরা আল-ইমরান ৮৯)
পবিত্র আল কোরআনে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ৫০ বার তাওবাহ্ শব্দটি এসেছে।এবং মহান প্রতিপালক আল্লাহ তার আসমানী গ্রন্থে আল কোরআনে তাওবাহ নামক একটি সূরা(অধ্যায়) অবতীর্ণ করেছেন।
এখন প্রশ্ন হলো,কেন মহান আল্লাহ এমন করলেন?
এতে বুজা যায় ক্ষমা পেতে হলে তার আগে তাওবায়ে (নাসূহা) বিশুদ্ধ অন্তরে তাওবা করতে হবে ।—সূরা তাহরীম ৮,
তাহলে কি বলা চলে না??
👉ক্ষমা পাওয়ার পূর্ব শর্ত হলো তাওবা করা👈
❣️এমন কিছু আয়াত📖
#সূরা বাকারা ৩৭,৫৪ #সূরা নিসা ১৬,১৫৬
#সূরা ইমরান ৮৯ #সূরা নাহল ১১৯
#সূরা মায়েদা ৩৪,৭৪ #সূরা আনআম ৫৪
#সূরা আরাফ১৫৩ #সূরা তাওবা ৫,১৫
#সূরা আহযাব ২৪,৭৩ #সূরা নূর ৫
#সূরা ফুরকান ৭০ #সূরা নাসর ৩
#বিঃদ্রঃআল্লাহর নিষেধকৃত বিষয়সমূহ ত্যাগ করা ও তার আদেশকৃত বিষয়সমূহর দিকে ফিরে আসা,কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, এবং তা পরিত্যাগের দৃঢ় সংকল্প করাকে তাওবা (প্রত্যাবর্তন) বলে।
🖋️তাসবিরুল ইসলাম শামীম
💮সদস্য,কর্ণফুলী সাহিত্যে পরিষদ