আহমেদ হানিফ।
অবাধ্য বয়স বেড়েই চলছে বল্গা হরিণের ন্যায়,গতরটার যেন তর সইছে না আর কতো বড়ো হওয়া চাই। সারা পাড়াতেই আমাকে নিয়ে চর্চা।বুড়িয়ে যাচ্ছি সেতো বছর পাঁচেক থেকে শুনছি-
মেঝ খালার ছোট মেয়ের সন্তান হওয়ার খুশিতে মিষ্টি নিয়ে খালা আসলেন আমাদের বাড়িতে,ঠিক যেন আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলছে জমিরনের শ্বশুর বাড়ি থেকে মিষ্টি দিলো নাতির মুখ দেখে,ভাবলাম তোদের দিয়ে যাই।
তোর যা কপাল হয়েছে না,এত বড়ো কন্যার কোনো ব্যবস্থা করতে পারলি না-
মা চুপ থাকেন যার ঘরে এত বড়ো অবিবাহিত মেয়ে তার কথা বলাই বারণ।জমিরনের বিয়েতে যাইনি দাওয়াত ঠিক মতো আসেনি যদি অমঙ্গল হয়।
আত্মীয় স্বজনের দু’চারি কথায় বুড়ো বাপ আমার খুবই অসহায় বোধ করে,অসহায় ভাবে বলে, আদরের বাছার বুঝি কোনো গতি করতে পারলাম না,আমার মরার পরে সকিনার কি হবে?
আজ বাড়িতে উৎসব চলছে আত্মীয়,পড়শির কানাঘুষা থামছে না-শেষ-মেশ আমার আজ বিয়ের অনুষ্ঠান।বাবা মায়ের কষ্ট ঠিকই বুঝতে পারি,আজকে পাহাড়সম বেদনা হতে হয়তো কিঞ্চিৎ মুক্তি মিলবে।
আমার জীবনের সুখই তারা দেখতে চাইতো।
স্বপ্নের রাজকুমারের আগমনের বাসনা মরে গেলো বহু আগেই।
ষাটোর্ধ বিপত্নীক পুরুষের মাঝে নিজেকে সর্পে দিয়েছি জীবনের একটা গতিতো হলো-
হয়তো আবার গ্রামে শোরগোল পড়বে বাবার বয়সী পুরুষের সাথে সকিনার বিয়ে হলো
ছিঃ!
ছিঃ!!
কি লজ্জার!!