অনলাইন ডেস্ক :
বাবরি মসজিদ রায় ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজরদারি আরোপ করা হয়েছে ভারতজুড়ে। এরইমধ্যে রায় নিয়ে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে ধরপাকড় শুরু হয়েছে।
শনিবার রায় ঘোষণার পর থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ার কারণে মোট ১২টি এফআইআরে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। খবর আনন্দবাজার।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই মামলা সম্পর্কিত ৩ হাজার ৭১২টি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
তার মধ্যে কিছু পোস্ট মুছে দেয়া হয়েছে। বন্ধও করে দেয়া হয়েছে অনেক অ্যাকাউন্ট।
রায় নিয়ে যাতে গুজব না ছড়ানো হয়, তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যবাসীর তৎপরতার ওপরও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি ওপি সিংহ।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন পড়লে রাজ্যের সর্বত্র সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বসানো হবে, যাতে গুজব ছড়িয়ে কেউ অশান্তিতে ইন্ধন জোগাতে না পারে।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির পাশাপাশি প্রযুক্তি নির্ভর কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে লখনৌতে। সেখানে বসেই অযোধ্যাসহ গোটা রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মকর্তারা।
ব্যক্তিগত ভাবে সবকিছুর তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
এ ছাড়াও খোলা হয়েছে এমার্জেন্সি সেন্টার, যাতে কোথাও গোলমালের খবর পেলেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়া যায়। নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে রাখা হয়েছে গোটা রাজ্যকে।
প্রসঙ্গত কয়েক দশকের আইনি লড়াইয়ের পর শনিবার উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট।
এতে প্রায় পাঁচশ বছর আগে নির্মিত মসজিদটির জমি মন্দির নির্মাণে হিন্দুদের দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর মসজিদটি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেয় দেশটির হিন্দুত্বাবাদীরা।
আর মসজিদ নির্মাণে মুসলনমাদের শহরের অন্যত্র পাঁচ একরের একখণ্ড জমি দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ভারত সরকারকে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এ রায় দিয়েছে।