শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট:
প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার সন্ধ্যায় নাগাদ সুন্দরবনের উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে। শনিবার সকালে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, খুলনাসহ কয়েকটি জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ঘোষণার পর থেকে জেলারমোরেলগঞ্জ ,শরণখোলা ও মোংলা উপজেলার গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে সতর্ক করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন। পাশাপাশি বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। পুলিশও রয়েছে সতর্ক অবস্থায়। মোরেলগঞ্জে মাইকিং করে সবাইকে সচেতন করছেন বারইখালী ইউপি সদস্য মো.মিজানুর রহমান বিপু
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জানার পর সামান্য কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে। বেশিরভাগই অপেক্ষা করছে, চরম পর্যায়ের জন্য! এছাড়া বুলবুলের খবরে সাগরে থাকা মাছধরা ট্রলার ও নৌকা তীরে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখনো নদীতে অনেক নৌকা ও ট্রলারকে মাছ ধরতে দেখা গেছে। এদিকে বুলবুল মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট দড়াটানা নদীতে দেখা যায় দুই শতাধিক মাছ ধরা ট্রলার সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে।
ট্রলারে থাকা জেলেরা জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের খবর পেয়ে প্রাণ বাঁচাতে চলে এসেছেন তারা। তবে এখনো অনেক জেলে সাগরে রয়েছেন। আসলে বঙ্গোপসাগর থেকে ঈচ্ছে করলেই চলে আসা যায় না, আসতে অনেক সময় লাগে বলে জানান তারা।
মোরেলগঞ্জ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নাসির আহমেদ জানান, ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জানার পর থেকে আমরা এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলছি।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদার বলেন, বুলবুলের প্রভাব মানুষকে জানিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আমাদের ৬টি টিম বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছে। এছাড়া জেলার ৫টি স্টেশনে ৮টি টিম প্রস্তুত রয়েছে। পার্শ্ববর্তী জেলাতেও কথা বলা আছে, প্রয়োজনে সেখান থেকে কিছু ইউনিট বাগেরহাটের জন্য আনা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম বলেন, বুলবুল মোকাবিলায় সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সব কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ৩০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি খাবারের আরও প্যাকেট তৈরির ব্যবস্থা চলছে। দুর্যোগের সময় চিড়া যেহেতু বেশি প্রয়োজন হয়, তাই আমরা বাজারে কয়েকটি চিরা কলকে তৈরি রেখেছি যাতে প্রয়োজন হলে তারা আমাদের চিড়া সরবরাহ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা ও প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম দুর্যোগের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলাতে অবস্থান করছে।