মিছবাহ উদ্দিন:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তম বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ঈদগাঁও বাজার সড়ক অল্প বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ার কারণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব, সড়কের উপর ময়লা-আবর্জনা রাখা, নির্দিষ্ট ডাস্টবিন না থাকা ও পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাব কর্দমাক্ত হওয়ার মূল কারণ। তাছাড়াও পূর্বের জ্রেনেজ ব্যবস্থা ভরাট করে ফুটফাট ব্যবসায়ীরা দখল করে রাখায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন সড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে পানি জমাট হয়ে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ছে। তাছাড়াও রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ার কারণে বৃষ্টি হলেই ঘটছে দূর্ঘটনা।
বাজার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টি হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ভাল হয়না। রাস্তার অবস্থা বেহাল হওয়ার কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকে। যদি পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা যায় তবে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। এদিকে সচেতন মহলের ধারণা ব্যবসায়ীদের অসচেতনতার কারণে বাজারের প্রতিটি গলিতে ময়লা আবর্জনা বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলায় বৃষ্টি হলে বাজারের রাস্তাগুলো কাদা-মাটিতে সয়লাভ হয়ে যাচ্ছে। বাজার পরিস্কার রাখতে ব্যবসায়ীদের আরো সচেতন হতে হবে।
ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক বাস-স্টেশন থেকে বংকিম বাজার পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই দিয়ে নির্মিত হলেও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে দুর্গন্ধযুক্ত পানি ও কাদামাটিতে সয়লাব হচ্ছে। ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পর পর দুইটি স্পীড ব্রেকার দেওয়ার কারণে মধ্যবর্তী স্থানে হাটু পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। ফলে বৃষ্টি হলেই দূর্ভোগে পড়তে হয় সর্বসাধারণকে। এদিকে শাপলা চত্বর থেকে কাপড়ের গলি হয়ে বাশঘাটা ব্রিজ পর্যন্ত পিচ ঢালাই দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে কিছুটা ভোগান্তি কমলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে ভারি ভর্ষণ হলে হাটু পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। ফলে ঈদগাও বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদে যাওয়া মুসল্লীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এদিকে স্কুল গেইট থেকে মাছ বাজার ও কাছা বাজার যাওয়া রাস্তাটি প্রায় অর্ধ ফুট কাদামাটিতে সয়লাভ হয়ে যায়। ফলে মাছ বাজার ও কাছাবাজারে যাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নেই। বিশেষ করে মহিলাদের বাজারে আসা অসাধ্যকর হয়ে পড়ছে।
পথচারী নওশাদুল আযম বলছেন বৃষ্টি হলে ঈদগাঁও বাজার অভিশাপে পরিণত হয়। বাজারে গেলে জামা-কাপড় কর্দমাক্ত হয়ে যায়। ফলে অসহনীয় হয়ে পড়ে বাজারের অবস্থা। ঈদগাঁও বাজার ইজারার মাধ্যমে কোটি টাকার রাজস্ব সরকারি খ্যাতে গেলেও সে পরিমাণ উন্নয়ন বাজারে হচ্ছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সুনজর কামনা করেন তিনি।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক বলেন বাজারের রাস্তা-ঘাট পরিস্কার করার দায়িত্ব বাজার ইজারাদারের। যেহেতু তারা ইজারার নামে বাজারের এসব রোডে ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টেক্স নিচ্ছেন। বাজার কমিটির কাজ ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।
বাজার ইজারাদার রমজান আলি বলেন যেসব রোড থেকে ইজারার টাকা আদায় করা হয় সেখানে যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় তবে তা পরিস্কারের জন্যে চেষ্টা করবো। এসব রোডে সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা করলে ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন ঈদগাঁও বাজারের এসব সমস্যা নিয়ে কেউ আমাদের বলে না। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি, ইজারাদার কিংবা পরিষদের চেয়ারম্যান। আমি এ বিষয়ে পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ডাস্টবিন স্থাপন এবং পরিস্কারের জন্যে ব্যবস্থা নিবো।