জবি প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার উস্থি ইউনিয়নের দাইরগাঁও বালিকা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও জেডিসি পরীক্ষার্থী রাহিমা খাতুন (১৪) কে অপহরণ ও গনধর্ষনের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্তরে মানববন্ধনের আয়োজন করেন “গফরগাঁও স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন” জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার দুপুর ১ টায় শুরু হওয়া মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত গফরগাঁও এর সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জবি ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি তানজিনা শিমু বলেন “ধর্ষন একটি সামাজিক ব্যাধি। সারাদেশে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলার আহবান জানান তিনি “। সংগঠনটির সভাপতি সাইফুজ্জামান বলেন ” রাহিমা খাতুন (১৪) একজন জেডিসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। যে কুলাঙ্গারদের কারনে একটি ফুটন্ত ফুল ঝড়ে গেল তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক”। সাংগঠনিক সম্পাদক কাওছার আহমেদ অন্তর বলেন “গফরগাঁও এর স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রইলো এই মধ্যযুগীয় বর্বরোতার বিচার করা হোক যাতে আর কোন মা-বোনদের ধর্ষণের শিকার না হতে হয় “।মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন শোভন সাদিক,নাহিদুল ইসলাম, শাকিল,শ্যামল, সেতু,পার্থ সরকারসহ জবি শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, উপজেলার পাগলা থানার কলুরগাঁও গ্রামে এক দিনমজুরের কন্যা জেডিসি পরিক্ষার্থী রাহিমা খাতুন (১৪)কে গত ৬ অক্টোবর বাড়ি থেকে অপহরন করে নিয়ে রাজধানী ঢাকা, জেলা শহর ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষন করে দুই সন্তানের জনক বিপ্লব মেকার (৪৪), দুই সন্তানের জনক ওয়াশির খাঁ (২৬) ও দুই সন্তানের জনক শারফুল শেখ (২৫) নামে তিন লম্পট । ধর্ষনের পর ধর্ষকের দল প্রায় অচেতন অবস্থায় জেডিসি পরীক্ষার আগের দিন গত শুক্রবার ভোরে দাইরগাঁও মাদ্রাসার সামনে ফেলে রেখে যায় ওই ধর্ষিতা জেডিসি পরীক্ষার্থীকে।