নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি বলেছেন, উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকরা যদি চাষাবাদ বন্ধ করে দেন, তাহলে আমাদের কী অবস্থা হবে, এটাও ভাবতে হবে। এখন বিশ্বজুড়ে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। দাম বাড়ায় আমরা অনেক গালি শুনেছি। তারপরও দাম কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছি।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রংপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দ্বিগুণ করে দিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তবে মুক্তিযোদ্ধারা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করেননি। তারা বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সেই বিষয়টি অনুধাবন করেন। তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ জীবনমানের উন্নয়নে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্ববাসী বাংলাদেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখেছে। পাকিস্তান এখন সব ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগ পিছিয়ে আছে। এটা সম্ভব হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব ও তার বিচক্ষণ কর্মকাণ্ডে।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা অবমুক্তকরণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল প্রমুখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হাঁড়িভাঙা, দৌড়সহ বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধারা। বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা। অনুষ্ঠানে রংপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা কয়েক শ বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / এনভি