নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় চতুর্থ দফায় ডুলাহাজারা ইউপি নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারদের কারসাজি ও ইভিএমে কারচুপির মাধ্যমে আনারস প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সোমবার বিকালে টেলিফোন প্রতিকের প্রার্থী কলিম উল্লাহ কলির বাসভবনে ওই ইউনিয়নে বিজীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী নুরুল আমিন, টেলিফোন প্রতিকের প্রার্থী কলিম উল্লাহ কলি ও মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
তারা অভিন্নভাবে বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারদের কারসাজি ও ইভিএমে কারচুপির মাধ্যমে আনারস প্রতিকের প্রার্থী হাসানুল ইসলাম আদরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ইভিএম এ ভোট গ্রহণের ঘোষণা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আমরা আবারো পুনঃনির্বাচনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবী জানাই। এ নির্বাচনের জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। এটি একপেশে নির্বাচন হয়েছে।
তারা আরো বলেন, আনারস প্রতিকের প্রার্থী ৯ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে বুথের গোপন কক্ষের পাশে একজন পোলিং অফিসারকে দিয়ে প্রত্যেক ভোটারদের আনারস প্রতিকে ভোট দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে বারবার অভিযোগ কার হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহল করা হয়নি।
কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ থাকার কথা থাকলেও অন্তত তিন থেকে চার বার বিদ্যুৎ চলে যায়। পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নতুন মেমোরি কার্ড ঢুকিয়ে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু করেন। ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী আদর ইভএমএর টেকনেশিয়ানদের ম্যানেজ করে এ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলার এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় হাসানুল ইসরাম আদরকে জেতানোর কুটকৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে রবিবারে অনুষ্টিত ডুলাহাজারা ইউনিয়ন নির্বাচনে ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শাহনেওয়াজ তালুকদার তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকের একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ডুলাহাজারা ইউপি নির্বাচনে হাসানুল ইসলাম আদর নামে এক বিশেষ ব্যক্তিকে বিজয়ী করতে প্রশাসন ও দলের নেতাকর্মীরা এক হয়ে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতিক দিলেও উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মী নৌকার পক্ষে কাজ করেননি। আমি এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করছি এবং আবারো ভোট গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি নির্বাচন কমিশনের কাছে।
এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থীরাও একই অভিযোগ করেন। তারা বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে একজনের ভোট পাল্টে আর একজনকে দিয়ে জিতিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে অনেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনৈতিভাবে আর্থিক লেনদেনও করেছেন বলে মেম্বাররা অভিযোগ করেন।
এসময় ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আহমদ হোসেন, বাদশা মিয়া, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জায়নাল আবেদীন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. গিয়াসউদ্দিন ও মো. রাসেল উপস্থিত ছিলেন। ##