নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্কাউটিং বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি শিক্ষামূলক যুব আন্দোলন, যা যুবাদের শারীরিক, মানসিক, আবেগিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টি দেশের চার কোটিরও বেশি শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী স্কাউটিংয়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের এগিয়ে নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও রয়েছে প্রায় ১৭ লাখ কাব স্কাউট, স্কাউট ও রোভার স্কাউট। সেবার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা – এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে স্কাউট পরিবারের সবাই সমাজের বিভিন্ন কল্যাণমুলক কাজে অংশ গ্রহণ করে থাকে। মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, আপদকালীন উদ্ধার, ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ ও বিতরণসহ সমাজ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজে আত্ননিবেদনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ স্কাউটস প্রতি বছর কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ছেলেমেয়েকে ‘ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে থাকে।
গতকাল (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির ৪৮ তম সাধারণ সভায় বাংলাদেশ স্কাউটস এর বার্ষিক প্রতিবেদনে ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ এর জন্য মনোনীতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, ক্যাম্পাসে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ সমাজের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের সাবেক সিনিয়র রোভারমেট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী কাজী জুবায়ের হোসেন, ১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মো. জাহিদুল ইসলাম এবং দর্শন বিভাগের মো,. জাহানুর ইসলাম এই সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তারা বলেন, ব্যাডেন পাওয়েল যেমনটা চেয়েছিলেন ‘পৃথিবীটাকে যেমন পেয়েছ তার চেয়ে একটু সুন্দর করে রেখে যেতে চেষ্টা কর’- আমরা এটা হৃদয়ে ধারণ করে ২০১৪ সাল থেকে রোভারিংয়ের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের কাজে নিজেদের শামিল করেছি। এখনও এই ধারা অব্যাহত রেখেছি,ভবিষ্যতেও রাখবো ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, এই বছর পঞ্চাশেরও অধিকজন ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন।