এম,এম,রুহেল, জৈন্তাপুর।
সিলেটের জৈন্তাপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তৎপরতায় দূর্ঘঠনা, দূর্যোগে সদা প্রস্তুুত টিম দমকল বাহিনী। জনগনের জানমাল রক্তায় তাদের তাদের অবদান ভুলার নয়। প্রকৃতিকন্যা সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জৈন্তাপুরে অগ্নিকাণ্ডে জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের অদূরে চাঙ্গিল এলাকায় স্থাপিত হয় এ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়। ২০১৬ সালের ২১শে জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সি শ্রেণির এ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, জৈন্তাপুরসহ আশপাশের উপজেলার অগ্নি নির্বাপণ সেবায় যাত্রা শুরুর পর থেকেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে ১৩ সদস্যের দমকল বাহিনীর গেরিলা টিম। এই প্রতিষ্টানের টিম লিডার জিসু তালুকদার এর সাহসী ভুমিকার প্রশংসা কুড়াল এলাকার জনগন।তার নেতৃত্বে গত ০৩/১২/২০২০ইং উপজেলার জাংঙ্গাল হাটি নামক স্হানে জৈনক আব্দুল করিম এর বাড়িতে আগুন লাগলে অন্তত ৪ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সহ ১৪ লক্ষ টাকার মুল্যবান জিনিস পএ উদ্ধার করে দমকল টিমটি।এ ছাড়া আসাম পাড়া গ্রামে বিগত বছর গেরেজে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় দমকল টিম বেঁচে যায় প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি।এতো প্রতিকুলতা সত্তে ও প্রতিষ্ঠানটি তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনাসহ সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী উপজেলা জৈন্তাপুরের পাশাপাশি আশপাশের দুটি উপজেলার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জানমাল রক্ষা, পাহাড় ধস, পানিতে ডুবে সাঁতার না জানা পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। জৈন্তাপুর উপজেলা ছাড়াও গোয়াইনঘাট এবং কানাইঘাটের নিকটবর্তী উপজেলা হওয়াতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ ফায়ার স্টেশনই সবার আগে অগ্নি নির্বাপণে ছুটে যায়। জাফলং, বিছনাকান্দিসহ আশপাশের পর্যটনস্পট সমূহে প্রতি বছর সাঁতার না জানা পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় লাশ উদ্ধারেও সড়ক দূর্ঘটনায় ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় জনগনের সেবায়।