ঢাকাশুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪
  1. সর্বশেষ

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরিবার ও সামাজিকীকরণ

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১৯ জুন ২০২১, ১:২৬ অপরাহ্ণ

Link Copied!

পরিবার হলো একটি ক্ষুদ্রতম সমাজিক সংগঠন, যেখানে পিত-মাতা ও তাদের সন্তান-সন্ততি একত্রে বসবাস করে। প্রতিটি মানব শিশু পরিবারে জন্মগ্রহণ করে এবং এখানেই বড় হয়। জন্মের পর হতে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন ও খাপ খাওয়ানোর প্রক্রিয়াই সামাজিকীকরণ। আর মানব শিশুর সামাজিকীকরণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে পরিবার।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্বে আরব সমাজের লোকেদের ব্যবহার ও চলাচল ছিল বর্বর ও মানবতাবিরোধী। তাদের জীবনধারা ছিলো অত্যন্ত নোংরা। ব্যাভিচার ,মদ্যপান, চুরি, হত্যা ও রক্তপাত তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো। তারা অপরের সামনে বিনা দ্বিধায় উলঙ্গ হত; তাদের নারীরা পর্যন্ত উলঙ্গ হয়ে কাবাঘর তাওয়াফ করত। তারা তাদের আপন কন্যা সন্তানকে নিজ হাতে করব দিত। তারা প্রতিমা পূজা, প্রেতাত্মার পূজা, নক্ষত্রের পূজা করত। তখন তাওহিদে বিশ্বাস অজ্ঞতার ভ্রষ্ট গহ্বরে পতিত হচ্ছিল, অজ্ঞতার ঘোর অন্ধকারে মানুষ যখন দিশেহারা, পথভ্রষ্ট, অবক্ষয়ের সর্বশেষ স্তরে উপনীত, তখন আল্লাহ চাইলেন বিশ্ব মানবতাকে মুক্তি দিতে, এক নতুন সভ্য সভ্যতার সূচনা করতে, তখন ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইস বংশে মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমন ঘটান। ঘোর অন্ধকারের অবসান ঘটাতে এক নতুন সূর্য উদিত করেন।

মুহাম্মদ (সাঃ)এর পুরো নাম মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবনে আবদু মানাফ ইবনে কুসাই। পিতা আবদুল্লাহ মুহাম্মদ (সা.)এর জন্মের আগেই মারা যান। তখন আরবের সম্ভ্রান্ত পরিবারের নবাগত শিশুগণকে গ্রাম্য বেদুইন ধাত্রীদের নিকট পাঠান ছিল চিরাচরিত অভ্যাস। তাই মুহাম্মদ (সাঃ)কে মক্কা থেকে ১৫০কি.মি. দূরে মরু অঞ্চলে হালিমার কাছে পাঠানো হয়। দুধ মা হালিমার কাছে মুহাম্মদ(স.) প্রায় ৪ বছর ছিলেন।এই মরুভূমিতে আসতে আসতে মুহাম্মদ(সা.) বড় হতে থাকেন। এই মরুভূমির পরিবেশ বিজাতীয় সংস্কৃতি আর ভাষা বিকৃতি থেকে মুক্ত ছিলো এবং ঐ অঞ্চলের মানুষ বিশুদ্ধ আরবি ভাষায় কথা বলতো। তাই মুহাম্মাদ(সাঃ) হয়ে উঠেছিলেন বিশুদ্ধভাষী এবং এখানে থেকেই তার আরবি ভাষার ভিত মজবুদ হয়। এখানে দৌড়াদৌড়ি ও ফেলাধুলা করার জন্য শিশু মুহাম্মদ(সাঃ)এর সামনে ছিল প্রশস্ত মরুপ্রান্তর। শিশুসুলভ বিভিন্ন কাজকর্মের মাধ্যমে তিনি একে অন্যকে সহযোগিতা করতে শিখেছেন। মরুভূমিতে জীবন ছিল কোন রকমে বেঁচে থাকা, টিকে থাকাটাই মূখ্য। বিলাসিতার কোন জায়গা নেই সেখানে। খাওয়ার কষ্ট, পানির কষ্ট নিয়েই বেদুইনরা বাঁচতে শিখেছে। পরবর্তীতে আমরা মুহাম্মদ(সাঃ)কে দেখি দেশের রাজা হয়েও দারিদ্র্যের কণ্টক মুকুট পরতে।

হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এখানে থেকে শিখেছেন বিশুদ্ধ আরবি ভাষা, কিভাবে কষ্টকরে জীবনধারণ করতে হয়, দায়িত্ব ও যোগাযোগ রক্ষার ব্যাপারগুলো শিখেছেন। এরপর মুহাম্মদ(সাঃ) মক্কায় মা আমিনার কাছে চলে আসেন। আমিনা মদিনায় জন্মেছিলেন, তার স্বামী আবদুল্লাহর মৃত্যুর সময় আমিনার বয়স বড়জোর ২০ এর কাছাকাছি ছিল। আমিনা চাইলেই তিনি মদিনায় ফিরে যেতে পারতেন, আবার বিয়ে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে বিশেষগুণের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি মক্কায় থেকে যান এবং মুহাম্মদ(স.)কে অত্যান্ত যত্নে বড় করতে থাকেন।আমিনা মারা যান ২৬ বছর বয়সে, তখন মুহাম্মদ(সাঃ)এর বয়স ছিল ৬ বছর।

মায়ের কাছে মুহাম্মদ(সাঃ) ত্যাগ শিখেছেন।মায়ের মৃত্যুর পর দাদা আবদুল মুত্তালিব তাঁর নাতির দায়িত্ব নেন। আবদুল মুত্তালিব তাঁর উচ্চতা, সুদর্শন চেহারা আর স্বভাবজাত নেতৃত্বগুণের কারণে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। এক সময় তিনি তাঁর গোত্রের প্রধান হয়ে ওঠেন। জুরহুম গোত্র জমজম কূপকে ঢেকে ফেলেছিল। মক্কাবাসীদের অনেক দিনের বাসনা আবার যদি তারা এই কূপের খোঁজ পেতেন! পানির উৎস খুঁজতে গিয়ে মুহাম্মদ(স.)এর দাদা আবদুল মুত্তালিব কূপের মুখ খুঁজেপান। এর দ্বারা মক্কায় পানির সমস্যা দূর হলো। কিন্তু কুরাইস নেতারা এই কূপের নিয়ন্ত্রণ মুত্তালিবের হাতে দেখতে চাইলেন না। তারা ঠিক করলেন সিরিয়ায় এক যাজিক এর মাধ্যমে এটার মীমাংসা হোক। তো সিরিয়া যাওয়ার পথে তাদের সব পানি ফুরিয়ে গেল, পানির অভাবে মৃত্যু সুনিশ্চিত ভেবে তারা তাদের করব পর্যন্ত খুঁড়ে ফেলেছিল। আবদুল মুত্তালিব বল্লেন, “মৃত্যুর কাছে আত্নসমর্পণ করা ব্যর্থতা।” তিনি পানি খুজতে লাগলেন এবং পেয়েও গেলেন। সবাই প্রাণে বাঁচলো। ৮ বছর বয়স পর্যন্ত বালক মুহাম্মদ(সাঃ)তার দাদার সাথে ছিলেন।

এই ঘটনা শুনে মুহাম্মদ(সাঃ) পরিস্থিতি যাই হোক সবাই যদি হাল ছেড়ে দেয় তেমন পরিস্থিতিতেও হার না মানা মানসিকতার শিক্ষা পান এবং সমাজকে কিছু দেওয়ার মানসিকতা গড়ে ওঠে। মুহাম্মদ(সাঃ)এর দাদি ফাতিমা আমর, মা মারা যাওয়ার পর মুহাম্মদ(সাঃ)কে অত্যন্ত আদর যত্নে মায়ের অভাব পূরণের চেষ্টা করেন। দাদার মৃত্যুর পর বালক মুহাম্মদ(সাঃ.) চলে যান তার চাচা আবু তালিবের কাছে, বিয়ে করার আগ পর্যন্ত ওখানেই ছিলেন। আবু তালিব নিজের ঔরসজাত সন্তানের চাইতেও মুহাম্মাদ(সঃ)কে বেশি আদর-যত্ন করতেন। শোবার কালে তিনি মুহাম্মাদ(সাঃ)কে সঙ্গে নিয়ে শুইতেন; বাইরে বেরুবার সময়ও তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বেরুতেন। আবু তালিবের আর্থিক অবস্থা ছিল অসচ্ছল।তিনি ব্যবসা করতেন। মুহাম্মাদ(সাঃ) চাচার অবস্থা অবলোকন করে তার সহযোগিতায় কাজ শুরু করেন। ব্যবসার উদ্দেশ্যে চাচার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে গমন করতেন এবং ১২ বছর বয়সে ব্যবসার উদ্দেশ্যে চাচার সঙ্গে সিরিয়া যান,যাত্রা পথে ‘বুহায়রা’ নামক এক পাদ্রির সাথে দেখা হলে ‘বুহায়রা’ মুহাম্মদ(সাঃ)কে অসাধারণ বালক বলে উল্লেখ করেন। চাচা আবু তালিবের ব্যবসায় তিনি সহযোগিতা করতেন এবং তিনি ব্যবসা সমন্ধে চাক্ষুষমান ছিলেন। আমরা জানি মুহাম্মদ(স.) তার কর্মজীবনে ব্যবসা করতেন।ব্যাবসায় দক্ষ হওয়ায় তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খাদিজা(রা.) তার ব্যবসার দায়িত্ব মুহাম্মদ(সা)কে অর্পণ করেন।

হাশিম মুহাম্মদ(সাঃ)এর দাদার দাদা। তিনি মক্কায় হজ্জ করতে আসা মানুষদের খাওয়া দাওয়ার দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি হাজিদের সেরা উটের মাংস দিতেন। তার আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না, তারপরও তিনি নিজের পকেট থেকে খরচ করতেন। কুরাইশদের কাছে থেকে দান নিতেন। হজের মৌসুমে বিভিন্ন মানুষের সাথে চলতে তাকে নিঃসন্দেহে অনেক চাপ সামলাতে হয়েছে, কখনো মানুষের কটু ব্যবহার সহ্য করতে হয়েছে। তিনি তার কাজ ধৈর্যের সাথে করতেন। মানুষ তার উদারতা ও সহনশীলতার কথা তাঁর মরার পরেও মনে রেখেছেন। এক কবি হাশিমের প্রশংসায় বলেছেন—”মক্কার ভুখা-নাঙাদের জন্য হাশিম দুধে ভেজা খাবার তৈরি করেছে; শীত আর গ্রীষ্মের কাফেলা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার কাছে থেকে মুহাম্মদ(সাঃ) ধৈর্যশীলতা ও দানশীলতা শিক্ষা পেয়েছেন। দান করতে হলে, আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকলেও যে দান করা যায় তা হাশিম দেখিয়েছেন। মুহাম্মদ(সাঃ) অনেক দান করতেন আমরা জেনেছি।

কুসাই মুহাম্মদ(সাঃ)এর বড়দাদার দাদা। মক্কার কুরাইশ গোত্র এক সময় দুর্বল ছিল, বিভক্ত ছিল। তিনি কুরাইশ গোত্রকে এক করেন। তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর জন্ম মক্কাতে তবে বড় হয়েছেন মক্কার বাইরে। দীর্ঘ সময় পর সেখানে ফিরে খুজা গোত্রের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। তখন খুজা গোত্র কাবার দায়িত্বে ছিল। কুরাইশ গোত্র এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব পাক এমন এক আকাঙ্খা তার মধ্যে জেগে ওঠে। এজন্য তিনি তাঁর গোত্রকে একতাবদ্ধ করেন এবং একসময় খুজা গোত্রকে সরিয়ে মক্কার রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁদের হাতে চলে আসে। তিনি বড় হয়েছেন মক্কার বাইরে ;মক্কাবাসীর কাছে তিনি বহিরাগতের চেয়ে কিছুনা। তার তেমন কোন সমর্থকও ছিল না। কিন্তু তিনি ছিলেন উচ্চাকাঙ্খী। প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে তিনি তাঁর স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
মুহাম্মদ(সাঃ) এ থেকে যেটা শিখে থাকবেন—কোন কিছু পরিবর্তনের জন্য যে শক্তি দরকার, সেটা নিজের থেকেই নিতে হবে; আশপাশ থেকে না। নাহলে পরিবর্তন আনা সম্ভব না। তার কাছ থেকে নেতৃত্বেরগুণ শিক্ষা পান। আমরা দেখেছি মদিনায় হিজরত করার পর, আওস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের মাঝে চলমান দীর্ঘদিনের যুদ্ধ বন্ধ করেন, মুহাজির ও আনসারদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন ও সৌহার্দ স্থাপন করেন। সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেন। গড়ে তুলেন ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা।

মুহাম্মদ(সাঃ) এই সব ঘটনা নিশ্চয় শুনে থাকবেন। মক্কার লোকদের একটা ঐতিহ্য ছিল, তারা গল্প-কবিতা দিয়ে তাদের পরিবার এবং বংসের কারো অনুপ্রেরণামূলক কীর্তি থাকলে গর্বের সাথে বলে যেত। আমরা জানি মুহাম্মদ(সাঃ) জন্মের সমায় মক্কার মানুষের সাহিত্যের প্রতি খুব অনুরাগ ছিল, তাদের কবিতা খুবই উন্নত ছিল। ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেন,”যখন তোমরা আল্লাহর কিতাবের কোনো কিছু বুঝতে না পার তবে তার অর্থ আরবদের কবিতায় তালাশ কর, কারণ কবিতা তাদের জীবনলেখ্য।”

মুহাম্মদ(সাঃ)বর্ধিত পরিবারে বড় হয়েছেন। তিনি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের সাথে মিশতেন। বর্ধিত পরিবারের এক একজন সদস্যের জীবন-অভিজ্ঞতা ভিন্ন, যে কারণে শিশু একেকজনের কাছ থেকে একেক রকম অভিজ্ঞতার স্বাদ পায়। তাঁর বর্ধিত পরিবার তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করেছে। মিসরীয় কবি আহমদ শাওকি বলেন—”মা শিক্ষক, তবে পরিবার আরও বড়ো শিক্ষক। পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের আছে নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতা। এগুলো ছেলেমেয়েদের বড়ো হতে সাহায্য করে।” এখন বর্ধিত পরিবারের কথা চিন্তাও করা যায়না। বিভিন্ন অপসংস্কৃতির সংস্পর্শে এসে মানুষ বর্ধিত পরিবার থেকে বিমুখ হয়ে পরেছে। কিন্তু ইউরোপের কিছু দেশে বর্ধিত পরিবারের সেই ধারা ফিরিয়ে এনেছে। দ্যা টেলিগ্রাফ পত্রিকা ২০০৮ সালে একটা প্রতিবেদন ছাপিয়েছিল। এখানে বলা হয়েছে যে,”ব্রিটেনের সাড়ে আট লাখ পরিবারে বাড়তি সদস্য থাকেন। তাদের ধারণা ২০২৮ সালের মধ্যে সেটা শতকরা ৩০ ভাগে পৌঁছাবে।”

অতঃপর হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) ইয়াতিম ছিলেন কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছেন। এর দ্বারা আল্লাহ আমাদের দেখিয়েছেন এই সভ্য সভ্যতায় অনাগত মানব শিশুকে কিভাবে গড়ে তুলতে হবে, কিভাবে ইয়াতিম শিশুকে গড়ে তুলতে হয়।আল্লাহ তায়ালা মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে মুহাম্মদ(সাঃ) এর আগমন ঘটানোর মাধ্যমে যে সভ্য সভ্যতার সূচনা করতে যে সূর্যকে উদিত করেছিলেন, তা আজো কিরণ ছড়ায় ধরণির মাঝে। আলহামদুলিল্লাহ।

আতিক হাসান আহাদ
সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল, টাংগাইল।

92 Views

আরও পড়ুন

মেহেদির রং শুকানোর আগে প্রাণ গেল তরুণের

নোয়াখালীতে ১২ সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ নিহতের ঘটনার বিচার চেয়েছে নতুনধারা

চমেক হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে ওঝার কাছে, সাপে কাটা যুবক

নওগাঁর পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী সেবা প্রদানের জন্য এ্যামবুলেন্স প্রদান

র‍্যাবের ২৪ ঘন্টা অভিযানে ধর্ষন মামলার আসামী সেলিম গ্রেফতার

নকলায় পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্য

কক্সবাজারের রামুতে ছুরিকাঘাতে নিহত কৃষকলীগ নেতা নাজেম হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক ২

গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স’র কর্ণধার নূর মোহাম্মদ গ্রেপ্তার

চকরিয়ার নবাগত সহকারী কমিশনার ভূমি এরফান উদ্দিন

চকরিয়া প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন
সাংবাদিকরাই পারে মানুষের আশার প্রতিফলন করতে- সাংসদ সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম 

“বদর দিবস” এর ইতিহাস, শিক্ষা ও তাৎপর্য