অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ
কৃষির পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবে ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কাপাসিয়ার ধাধার চরে এবার ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন সেলিম ভূইয়া নামের এক কৃষক। সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে তিনি এ ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন। সেলিম দুর্গাপুর ইউনিয়নের একডালা গ্রামের মৃত আলাউদ্দীনের পুত্র। তার প্রয়াত দাদা আব্দুল ওয়াহাব ভূইয়া প্রায় ১৫০ বছর আগে নদীপাড়ি দিয়ে ধাধার চরে কৃষি কাজ করতেন। পারিবারিকভাবেই ধাধার চরের পুরনো কৃষক ওরা। এ চরে রয়েছে সেলিমের প্রায় ১০ বিঘার মতো কৃষি জমি। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ফসলি জমির একপাশে ৬ মাস আগে তিনি গড়ে তুলেছেন ছাগলের এই খামার। এটা ধাধার চরের প্রথম ছাগলের খামার।
এ ব্যাপারে সেলিম ভূইয়া প্রতিবেদককে জানান, কৃষির পাশাপাশি ছাগল পালনে সুবিধা অনেক। দেশে ছাগলের মাংসের যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি ছাগলের দামও সন্তোষজনক। স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অনেকটা সখ করে তিনি ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন।
তিনি আরো জানান, ছাগলের ঘর তৈরি করতে দুই লক্ষাধিক টাকার মতো খরচ হয়েছে। ছাগল থাকার জন্য ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের কাঠের মাচা তৈরি করতে হয়েছে। মাচা তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। তিনি খামার শুরু করেছেন ১০ টি দেশী ছাগল নিয়ে। গত শীতের সময় পিপিআর রোগে ৪ টি ছাগল মারা যায়। বর্তমানে তার খামারে ৩ জন শ্রমিক কাজ করেন। মাচায় সবসময় ছাগল থাকেনা। দিনের বেলায় বিশাল ধাধার চরে ছাগল ছেড়ে দেয়া হয়। ছাগলের খাবারের জন্য তেমন একটা বেগ পেতে হয়না। ধাধার চরেই রয়েছে ছাগলের পুষ্টিকর সবুজ ঘাস, আলুর পাতা, কলাপাতা। পাশাপাশি ছাগলকে দানাদার খাদ্য হিসেবে গম,ভুট্টা, চালের কুড়া, ভুষি, খৈল খাওনো হয়। আগামী ঈদে ছাগল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবেন বলে তিনি আশাবাদী। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে এখনো পর্যন্ত তেমন কোন সহযোগিতা পায়ননি বলে তিনি জানান।
লেখক –
শামসুল হুদা লিটন
সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক।