২৭ রজবের ইবাদাত : একশত (১০০) বছরের রোযার সাওয়াব:
২৭ শে রজবের গুরুত্বের কথা কি বলব!
ঐ তারিখে আমাদের প্রিয় আকা হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর উপর ১ম বার ওহী নাযিল হয়েছে এবং এই তারিখেই মেরাজের সেই আজিমুশশান মুজিজা প্রকাশ পেয়েছিল। ২৭ রজব শরীফের রোযার অনেক ফযীলত রয়েছে।
যেমন-হযরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী رضى الله عنه হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত মুহাম্মদ ﷺ ইরশাদ করেন, “রজবে একটি দিন ও রাত এমন রয়েছে,
যে ব্যক্তি সে দিনে রোযা রাখবে ও রাতে নফল ইবাদতে অতিবাহিত করবে, তা শত বছরের রোযার সমান।
আর তা হল ২৭ রজব।
ঐ তারিখেই আল্লাহ তাআলা হযরত
মুহাম্মদ ﷺ এর নিকট ওহী প্রেরণ করেছেন।”
(শুআবুল ঈমান, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৭০, হাদীস নং-৩৮১১)
২৭ তারিখের রোজা ১০ বছরের গুনাহের কাফ্ফারা :
আলা হযরত ইমামে আহলে সুন্নাত, ওলিয়ে নে’মত, আজিমূল বরকত, আজিমূল মরতাবাত পরওয়ানায়ে শময়ে রিসালাত, মুজাদ্দিদে দ্বীনো মিল্লাত, হামিয়ে সুন্নাত, মাহিয়ে বিদআত, আলিমে শরীআত, পীরে তরিক্বত, বায়েছে খায়রু বরকত,
হযরত আল্লামা মওলানা আলহাজ্ব আল হাফিয আল কারী আশ শাহ ইমাম আহমদ রযা খান رحمة الله عليه ইরশাদ করেন যে, “ফাওয়ায়িদে হানাদে” হযরত সায়্যিদুনা
আনাস رضى الله عنه হতে বর্ণিত আছে, নবীয়ে করিম, রঊফুর রহীম হযরত মুহাম্মদ ﷺ ইরশাদ করেছেন,
“২৭ রজবে আমার নবুওয়্যত প্রকাশ হয়েছে।
যে ব্যক্তি এই দিন রোজা রাখবে আর ইফতারের সময় দু‘আ করবে, (তাহলে তা) ১০ বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হবে।”
(সংশোধিত ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যাহ্, খন্ড-১০ম, পৃ-৬৪৮)
৬০ মাসের রোযার সাওয়াব :
হাদীসে পাকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ২৭ রজবের রোযা রাখবে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য ষাট (৬০) মাসের রোজার সাওয়াব লিখে দিবেন।
আর তা সেই দিন, যেই দিনে হযরত জিবরাঈল عليه السلام হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর জন্য প্রথম অহী নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন।
(তানযিহুশ শরীয়াহ, খন্ড-২য়, পৃ-১৬১, হাদীস নং-৪১)
শত বছরের রোজার সাওয়াব
হযরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী رضى الله عنه থেকে বর্ণিত, আল্লাহর মাহবুব হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর বাণী হচ্ছে, রজবে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে যে,
সেই দিনে যে রোযা রাখবে ও রাতে কিয়াম তথা ইবাদত বন্দেগী করবে সে যেন একশত বছর রোযা রাখল।
আর সেই দিন হল ২৭ রজব।
এই দিন হযরত মুহাম্মদ ﷺ কে আল্লাহ তাআলার প্রতি প্রেরণ করেছেন।
(শুআবুল ঈমান, খণ্ড-৩য়, পৃ-৩৭৪, হাদীস নং-৩৮১১)
আল্লাহ আমল করার তৌফিক দান করুক।