হাছান মাহমুদ সুজন, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার প্রতিনিধি):
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় প্রধান দু’টি বাজারে কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির দাম।ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তেল এবং চাউলের দাম।করোনা ভাইরাস জনিত বৈশ্বিক মহামারির কারণে আয় কমে গেছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের। অর্থনীতিতেও বিরাজ করছে এক ধরনের হ্রাস। এর মধ্যে দ্বীপের বাহির থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা কাঁচা বাজার সরবরাহে ভিবিন্ন অসুবিধার সম্মুখিন হওয়ার কারণে এবং দ্বীপের চাষীদের ক্ষেত থেকে শীতকালীন সবজি সরবরাহ বৃদ্ধি না পাওয়ায় বাজারে শাক-সবজির দাম বেড়ে যায় হু হু করে।দ্বীপের লবন চাষীরা লবনের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অভাব অন্টন নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছিল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এবং লাঘামহীন কাঁচা বাজারের সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে।ফলে কাঁচা বাজারে গিয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের বেশ নাকালই হতে হয়। বাজারে গেলে যেন প্রতি কেজি ১০০ টাকার নিচে সবজির দর কষানো যেত না। নিত্য পণ্যের ঊর্ধ্ব গতিতে বেসামাল অবস্থায় পড়েছিল নিম্ন-মধ্যবিত্তরা।
তবে শীতের মাঝামাঝি সময়ে সপ্তাহের ব্যবদানে ভিবিন্ন জায়গা থেকে পাইকারি দামে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং দ্বীপের ভিবিন্ন প্রান্তে সবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় কাঁচা বাজারে কমেছে শীতকালীন সবজির দাম। স্বস্থি পেয়েছে কুতুবদিয়ার ভিবিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবীর মানুষ।
০৮-জানুয়ারি-শুক্রবার বিকেলে দ্বীপের ধূরুং বাজার,বড়ঘোপ বাজার ও চৌমুহনী বাজারে ঘুরে দেখা গেছে ছুটির দিনে ক্রেতা যেমন বেশি তেমনি পণ্যের সরবরাহও বেশি।
এসব বাজারে শীতকালীন সবজি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা,মুলা ২০থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা,,টমেটো ৩০থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা,দেশী বেগুন ৩০থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা,আলু দাম ১০টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০টাকা,, ফুলকপি ২০থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা,,বাঁধাকপি ১০থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা,,সিম ৩০থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা,,কাঁচা মরিচ ৪০থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা,,,,করলা ২০থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা,,মিষ্টি কুমড়া ২০থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা,,ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০টাকায়।
ধূরুং বাজারের খুচরা তরকারী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ও মাহমুদুল করিম জানান,,পূর্বে কাঁচা বাজারের দাম বাঁড়লেও এখন চকরিয়া,লামা,সাতকানিয়া সহ প্রায় জায়গা থেকে পাইকারি দামে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে দ্বিগুন হারে।
তবে সবজির দাম কমলেও বাঁড়ছে তেল,চাউল ও মুরগির দাম। বর্তমানে বাজারে ২০ টাকা দাম বেড়ে প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা,লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে২৬০ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রতি কেজি ৩৫ টাকা,বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৩০টাকা করে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় হওয়ায় দেশের বাজারেও তেলের দাম বাড়ছে। এর একটি কারণ করোনা মহামারি।