ঢাকাশনিবার , ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

মুক্ত চিন্তায় বাধা’ একটি জাতির জন্য অশনি সংকেত!

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

Link Copied!

———-
একটি জাতি উন্নতি সাধন করতে পারে তখনই, যখনই সে জাতি নিজেদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে পারে বাধাহীন। যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই; সেখানে স্বাধীনতা শব্দটা বেমানান। তাই মুক্ত চিন্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মুক্তচিন্তা হচ্ছে একটি বিশেষায়িত চিন্তন প্রক্রিয়া যেখানে কোন রকম সীমাবদ্ধ কিংবা প্রতিবন্ধকতার প্রভাব থাকবে না। কাজী সাইফুদ্দিন মুক্ত চিন্তার সংজ্ঞায় বলেন- মুক্ত চিন্তা মানে “Open system of Thought” অর্থাৎ চিন্তার উন্মুক্ততা।

অতি সম্প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- তার ফেসবুক ওয়ালে তার মতামত প্রদান করার প্রেক্ষিতে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই ছাড়া আমরা পূর্বেও দেখেছি ফেসবুকে, টকশোতে, ব্লগে তাদের মত প্রকাশ করার ফলে তাদের হত্যা করা হয়েছে। কেননা তাদের মত একটি গোষ্ঠীর বিপক্ষে গিয়েছে। তাহলে আমরা কীভাবে মত প্রকাশ করব? আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কে দিবে? তাহলে বলা যায় যা কিছু হবে হোক আমরা টুঁ শব্দ করতে পারব না! আমরা একটি জাতির উন্নয়নে, একটি দেশের উন্নয়নের প্রেক্ষিতে সমালোচনা করতে পারব না! সাংবাদিক ও ব্লগাররা তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী সত্য হলেও তা বলতে পারবে না। তাহলে কি বলা যায়; আমরা বন্দী জাতি?

প্রত্যেক দেশেই মুক্ত মত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন হচ্ছে এবং কি মুক্ত মত প্রিয় জাতিরা তা প্রতিষ্ঠা করছে। ইংরেজ কবি মিল্টন সপ্তদশ শতকে ব্রিটিশ রাজার সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হন বিবেকের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠায়। অ্যারিওপ্যাজিটিকায় তার উচ্চারণ ছিল এই রকম; দাও আমায়, জ্ঞানের স্বাধীনতা দাও, কথা কইবার স্বাধীনতা দাও, মুক্তভাবে বিতর্ক করার স্বাধীনতা দাও। সবার ওপরে আমাকে দাও মুক্তি। লক্ষণীয় যে, শর্তহীন বাকস্বাধীনতার অধিকার আজও আমরা অর্জন করতে পারিনি। আমি কি করব না করব সেটা যদি অন্যজন ঠিক করে দেয় তাহলে আমার কাজ কি! আমার নিজস্ব চিন্তার জগৎ বলে কিছু আছে বৈকি!

বাক্‌স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর দশটা গণতান্ত্রিক অধিকারের মতো নয়, এটি গণতন্ত্রের মৌল ভিত্তি। আর সবকিছুই এর ওপর নির্ভরশীল। এটি খুবই মৌলিকভাবে গণতন্ত্রের সবচেয়ে মৌলিক উপাদান। ফলে এই অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া, সংরক্ষণ করা ও তাকে বিকশিত করা রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, যেটা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে সবাই নির্বিঘ্নে মত প্রকাশ করতে পারবে, কথা বলতে পারবে, লিখতে পারবে, সমালোচনা করতে পারবে এবং নিরাপদে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা পাবে এমন বাংলাদেশ কামনা।
———-
আমজাদ হোসেন হৃদয়
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

295 Views

আরও পড়ুন

জিপিএ ৫: পরিশ্রমের প্রতিবিম্ব, তবে ভবিষ্যৎ গড়ার মানদণ্ড নয় – জুবায়েদ মোস্তফা

শান্তিগঞ্জে সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের ইউনিয়ন কমিটি গঠন ও ত্রাণ বিতরণ

এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত তালহা জোবায়ের সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট হতে আগ্রহী

দেশসেরা টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত থেকে বড়লেখার তামিম শাহরিয়ার জিপিএ-৫

সুনামগঞ্জ-০৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭ প্রার্থী মাঠে, প্রচারণায় তুমুল লড়াইয়ে

জবি ফুড কার্ট স্টাফদের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ারের জার্সি উপহার

কমলগঞ্জে মণিপুরী লাইব্রেরি এন্ড রিসার্চ সেন্টারের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বিতর্কিত ইউএনওর বদলি আদেশে শরণখোলায় স্বস্তি

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, গোবিপ্রবি শাখার নেতৃত্বে ইমন- জান্নাতি

সুনামগঞ্জ বিআরটিএ সাথে নিরাপদ সড়ক চাই’র মতবিনিময়

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

শান্তিগঞ্জে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের শুভ উদ্ভোধন