ঢাকাসোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

ভিক্ষা করে জীবন চলে ওদের : তবু জোটেনি ভাতার কার্ড

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৬ অক্টোবর ২০২০, ৬:৪০ অপরাহ্ণ

Link Copied!

জেমস্ আব্দুর রহিম রানা, স্টাফ রিপোর্টার :

অন্যের দুয়ারে ঘুরে ঘুরে পেট চলে বৃদ্ধা রাবেয়া বেগমের। স্বামী মারা গেছেন দশ বছর আগে। তিনিও বেঁচে থাকতে ভিক্ষা করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর বাঁচার তাগিদে নিজেই নেমে পড়েন ভিক্ষাবৃত্তিতে।
দশ বছর ধরে ভিক্ষা করলেও রাবেয়া বেগমের খবর রাখেন না জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় সমাজকর্মীরা। দুই ছেলে হতদরিদ্র হওয়ায় তারাও মায়ের খবর রাখেন না। স্বামীর ভিটে না থাকায় এখন নাতির আশ্রয়ে থাকেন তিনি।
রাবেয়া বেগম উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের মাহমুদকাটি গ্রামের হক আলী গাজীর স্ত্রী। মেম্বারের পিছু হেঁটেও নিজের জন্য একটি ভাতার কার্ড জোগাড় করতে পারেননি ৬৭ বছর বয়সী এই নারী। সরকারি কোনো সহায়তা পান না তিনি।
রাবেয়া বেগম বলেন, স্বামী বেঁচে থাকতে গ্রাম ঘুরে ঘুরে যা আনতো তাতে কোনো রকম দিন চলতো। তিনি মরেছেন ১০ বছর আগে। এরপর থেকে সকাল-বিকেল অন্যের দ্বারে ঘুরে ঘুরে দুমুঠো খাবার জোটে। দুই ছেলে ভ্যান চালায়। তাদেরই সংসার চালাতে কষ্ট হয়। আমাকে দেখবে কী করে! স্বামীর ভিটেমাটি নেই। নাতছেলে ইমরানের ঘরে কোনোরকমে থাকি।’
রাবেয়া বলেন, ‘আগে রাস্তার কাজ করতাম। বয়স হওয়ায় কয়েক বছর ধরে মেম্বার বাদ দেছে। একখান কার্ডের জন্যি মেম্বার মিলনের পিছে কত ঘুরিছি। মেম্বার কয়, আমার নাকি কার্ড হবে না। এখন বয়স হয়েছে। এর-ওর দুয়ারে গেলি দুটো ভাত জোটে। অসুখ হলি ওষুধ জোটে না। শুনিছি টাকা দিলি কার্ড হয়। আমি টাকা পাব কনে?’
রাবেয়া বেগমের মতো একই ওয়ার্ডের কদমবাড়িয়া গ্রামের আরেক হতভাগ্য বিধবা সুফিয়া বেগম (৫৭)। দেড় বছর আগে দিনমজুর স্বামী আব্দুস সাত্তার মারা যাওয়ার পর পেটের তাগিদে তিনিও ভিক্ষায় নেমে পড়েন। সুফিয়া বেগম আলসারের রোগী। অসুস্থতার কারণে এখন অন্যের দুয়ারে ঘোরা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই বিধবাও সরকারি সব সহায়তা থেকে বঞ্চিত।
সুফিয়া বেগম বলেন, ‘দেড় বছর আগে অসুখ হয়ে স্বামী মরেছে। কিছু রেখে যেতে পারিনি। এর-ওর দুয়ারে ঘুরে কোনোরকম পেট চলে। আমি পেট ব্যথার রোগী। এখন ঠিকমতো বেরুতে পারিনে। ১৩ বছরের একটা ছেলে আছে। ও কাজ করে নিজে চলে। আমারে দেখে না। মেম্বার মিলনের কাছে অনেকবার গেছি। ‘পরে হবে’ বলে বারবার ফেরত দেছে।’
খেদাপাড়া ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার তায়জেল ইসলাম মিলন সাংবাদিকদের বলেন, রাবেয়া ও সুফিয়ার নাম ইউনিয়ন কাউন্সিলে জমা দেওয়া আছে। আগামীতে তাদের ভাতা হবে। খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, আপাতত সুযোগ নেই। সামনে সুযোগ এলে এই দুই বিধবাকে ভাতার আওতায় আনা হবে।

110 Views

আরও পড়ুন

শান্তিগঞ্জে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে সংকেতহীন স্পিড ব্রেকার,দূর্ঘটনার আশঙ্কা

বুটেক্স শিক্ষার্থীদের উপর ঢাকা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের হামলা, আহত অর্ধ শতাধিক

পাঠকের অনুভূতিতে ❝কলিজার আধখান❞

অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে বিএনপি সন্দেহ করছে–ড. হুমায়ুন কবির

বিশ্বরূপ চন্দ্র বিশ্বাসের কবিতা:- হাসি

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণসংবর্ধনা ও কাউন্সিল শুক্রবার

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণ সমাবেশ সফল করার লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

আইডিইবির ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

দোয়ারাবাজারে এফআইভিডিবি’র স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ

বোয়ালখালীর নব যোগদানকৃত শিক্ষা অফিসার হারুন উর রশীদকে বরণ

জামালপুরে মৃত আইনজীবী হলেন অতিরিক্ত জিপি