জেমস আব্দুর রহিম রানা, স্টাফ রিপোর্টার :
সরকার আলুর খুচরা মূল্য সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি বেঁধে দিলেও যশোরের বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। শহরের বড় বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। আলু-পেঁয়াজের দামের উর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। তবে জেলা বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা বলছেন, আজ শণিবার যশোর সদর উপজেলার বাজারের আড়তদারদের কাছে ২৩ টাকা করে বিক্রি করবেন তিনজন মজুতদার। তারা ২৮০ মেট্রিক টন আলু বিক্রি করবেন। এতে বাজারে আলুর দাম কমবে।
শহরের বড় বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আশিষ সাহা জানান, আমরা ৪৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করছি। আড়ত থেকে কিনছি ৪৩ টাকায়। একই বাজারের শংকর কুমার জানান, বাজারে কোন আলুর সংকট নেই। কিন্তু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমরা কেজিতে ২ টাকা লাভ করছি। তারমধ্যে কিছু আলু আমাদের নষ্ট বের হচ্ছে।
সম্প্রতি কৃষি বিপনন অধিদপ্তর আলুর দাম বেধে দিয়েছেন। তারা হিমাগারকে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান সেনাকল্যাণ, সুন্দরবন ও রজনীগন্ধা কোল্ড স্টোরের তিনজন ব্যবসায়ী ২৮০ মেট্রিক টন আলু ২৩ টাকা করে আড়তদারদের কাছে সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিক্রি করতে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা আজ বিক্রি করবেন। সরকারের নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।