মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা:
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সকাল থেকে ভারতীয় পেয়াঁজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের সিএন্ডএফ এজেন্ট শংকর দাস ।
তিনি আরো জানান,সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় ভারতের বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানান ভারতীয় কাষ্টমস কর্মকর্তারা।
এ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন এখনও জারি হয়নি, তবে অচিরেই জারি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও পেঁয়াজ আমদানির জন্য যেসব এলসি খোলা রয়েছে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া সপন্ন হয়েছে সেগুলোর বিপরীতেও কোনও পেঁয়াজ রপ্তানি হবে না।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন,আজ সকাল থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঁঝাই কোন ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করেনি। তবে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করবে কি না সে বিষয়ে এখ নপর্যন্ত কোন চিঠি ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। আমরা সেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগযোগ রাখছি পেঁয়াজের রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে।
হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন পেঁয়াজ আমদানিকারক জানান, ‘কিছুক্ষণ আগে ভারতীয় রফতানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট আমাদের জানিয়েছেন যে ভারত কোনও পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না। এ বিষয়ে কোন চিঠি না দিলেও ভারতীয় কাষ্টমসের নিষেধ থাকায় সকাল থেকে পণ্যটি আমদানি বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমাদের অনেক আমদানিকারকের বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা রয়েছে। আমরা তো এখন বিপাকের মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা তাদেরকে বলছি আমাদের যেসব এলসি খোলা রয়েছে সেগুলোর পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য। আমাদের অনেক এলসির বিপরীতে অনেক ট্রাক মাল নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন যদি তারা পেঁয়াজ না দেয় তাহলে আমাদের এই পেঁয়াজের কী অবস্থা হবে সেই চিন্তায় আছি।
এ বিষয়ে হিলি কাষ্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান,ভারতীয় কাষ্টমসের সাথে কথা হয়েছে সরকারী নির্দেশনা থাকায় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে তবে পরবর্তী সরকারী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে তারা জানিয়েছেন।