আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ভবানীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন।
সে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ডিমা গ্রামের হুমায়ন কবিরের মেয়ে।
জানাগেছে, শনিবার বেলা আনুঃ ১১টায় ৩৩৩ থেকে ফোন ও এসএমএস পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পারেন যে, ভবানীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিনের বিয়ের আয়োজন চলছে। এমন সংবাদে ইউএনও এবং (ভারপ্রাপ্ত) ওসি হুমায়ন কবির ও পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। গিয়ে শুনেন কিছুক্ষণ পূর্বেই জেসমিনকে সঙ্গে নিয়ে গোপনে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাবা-মা মান্দার বালুবাজার এলাকার কাজী অফিসের দিকে রওনা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মান্দা উপজেলার ইউএনও আব্দুল হাকিম এবং ওসি মোজাফফর হোসেনকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেন নিয়ামতপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা।
মান্দার ইউএনও জেসমিনের পিতার সাথে ফোনে কথা বললে, তারা ভয় পেয়ে মেয়েকে নিয়ে মাঝপথ থেকে নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায়। জেসমিন জানায় পারিবারিক অভাব অনটনের জন্য তার বাবা-মা বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিল। এ বিষয়ে জেসমিনের পিতা ভুল স্বীকার করেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরার সামনে ১৮ এর আগে মেয়ের বিয়ে দেবেনা মর্মে মুচলেকায় সাক্ষর করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারিয়া পেরেরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ৩৩৩ থেকে ফোনে জানতে পারি বাল্য বিয়ের ঘটনা। ঘটনা স্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করি ও মেয়েটির লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল হতে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে আস্বস্ত করি।