ঢাকামঙ্গলবার , ৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

ভুরুঙ্গামারীতে ব্রীজ-কালভার্ট ও পাকা সড়কের বেহাল দশা

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১১ অক্টোবর ২০১৯, ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সেতু ও কালভার্টসহ কয়েকটি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সোনাহাট ইউনিয়নের কলেজ মোড়ের এলাকার সোনাহাট-চর ভুরুঙ্গামারী সড়কের একটি সেতুর এক সাইড দেবে গেছে। দেবে যাওয়া সেতু দিয়ে জানমালের ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন চলাচল করছে। সেতুটিতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এডিবির প্রায় ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০৯ সালে প্রায় ১৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করে এলজিইডি। দু’বছর আগে বন্যায় সেতুটির অ্যাবাটমেন্ট দেবে গিয়ে পাটাতন সমেত সেতুর দক্ষিণ অংশ চার ফুটের মতো দেবে যায়। এ ছাড়াও সেতুর উইং ওয়াল অ্যাবাটমেন্ট থেকে আলাদা হয়ে গেছে। যা কোনো কাজে লাগছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে দেবে যাওয়া অংশের ওপর মাটি ও ইটের টুকরো ফেলা হয়েছে। পণ্য বোঝাই ট্রাক নড়বড়ে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নগামী সমস্ত ভারী যানবাহন এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে।

তিলাই ইউনিয়নের ধামেরহাট-থানাঘাট সড়কের আনন্দ বাজার সংলগ্ন বক্স কালভার্টের ওপরের পাটাতন ধসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাটাতনের আস্তরণ খসে পড়ে লোহার রড বেরিয়ে পড়েছে। এতে ওই কালভার্টের ওপর দিয়ে যাতায়াত করা মানুষ ও যানবাহন হরহামেশাই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। কালভার্টটির ওপর দিয়ে তিলাই ইউনিয়নের আনন্দ বাজর, পাথরডুবী ইউনিয়নের মইদাম, বাঁশজানী, থানাঘাট, ঢেবঢেবী ও পাথরডুবীর মানুষজন ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। যেকোনো সময় কালভার্টের পাটাতন সম্পূণরূপে ধসে পড়ে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পাথরডুবী ইউনিয়নগামী সব ভারী যানবাহন এই কালভার্টের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে ধাকে।

চর-ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মাঠের পাড় নামক স্থানে কাঁচা সড়ক ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দুই বছর আগের বন্যায় সড়ক ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। গর্তের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোই এখন ইউনিয়নটির কয়েক গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। তিলাই ইউনিয়নের দু’টি ওয়ার্ড ও চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ডের মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া ভারী যানবাহনগুলো সাত-আট কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করছে।

ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভুরুঙ্গামারী পাবলিক লাইব্রেরি-ভুরুঙ্গামারী বাজার দুর্গামন্দির পর্যন্ত হেরিং বন্ড রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মন্দিরসংলগ্ন রাস্তাটির এক অংশ সামান্য বৃষ্টিতে নোংরা কাদাজলে ডুবে থাকে। এ ছাড়া গরুহাটের পশ্চিম দিকে আজিজুল হক হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনের হেরিং বন্ড রাস্তাটিও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত রাস্তা দু’টি মেরামত না করার কারণে হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ওই এলাকার মানুষকে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা ও হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, ভুরুঙ্গামারী গরুহাটের পশ্চিম দিকের রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় আমাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। সম্প্রতি সেখানে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক উল্টে চারজন যাত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। অপর দিকে একই ইউনিয়নের গার্লস স্কুল রোড ও জামতলা ফাজিল মাদরাসা পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক পাঁচ বছর যাবত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলে সড়ক দুটিতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক দুটিতে প্রতিনিয়তই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়ক দু’টি দিয়ে উপজেলার আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে।

জয়মনিরহাট ইউনিয়নের খাটামারী মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিংঝাড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা সড়কের কাদাজলের কারণে পথ চলতে নাভিশ্বাস উঠেছে ওই এলাকার মানুষের। সামান্য বৃষ্টি হলে সমস্ত রাস্তা কাদায় সয়লাব হয়ে যায়। দেখে বোঝার উপায় নেই রাস্তা নাকি রোপা আমন চাষের জমি। সড়কটি দিয়ে ওই ইউনিয়নের দলবাড়ী, বাউশমারী, খাটামারী, শিবুর পাড় ও বগনীর পাড় গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ব্যাটারি চালিত রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা জানায়, একটু বৃষ্টি হলেই যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে রিকশা ও ইজিবাইককে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। নোংরা কাদাজল মাড়িয়ে জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে অফিসগামী মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের পথ চলতে দেখা যায়। শিংঝাড় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরাও এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন।

পাইকেরছড়া ইউনিয়নের আসাম পাড়ার একটি কাঁচা সড়ক ভেঙে গিয়ে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার সাথে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রি করতে হাট-বাজারে নিতে সমস্যা পড়ছে। এবারের বন্যায় দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সড়কটি ভেঙে যায়। আসাম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৎস্য ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম ও আমির আলী জানান, সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় মাছ নিয়ে বাজারে যেতে আমাদের অসুবিধা হয়। গ্রামের বাইরে যাওয়ার অন্য কোনো রাস্তা নেই। প্রয়োজনের তাগিদে কাদাপানি মাড়িয়ে গ্রামের বাইরে যেতে হয় গ্রামবাসীদের।

এ ছাড়াও উপজেলার ১০ ইউনিয়নের কাঁচা সড়কের বেশির ভাগই সামান্য বৃষ্টি হলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, শিংঝাড় সড়ক পাকাকরণ, গার্লস স্কুল রোড ও জামতলা-ফাজিল মাদরাসা সড়ক মেরামতসহ সোনাহাট-চর ভুরুঙ্গামারী সড়কের কলেজ মোড় এলাকার সেতু নির্মাণ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ধামেরহাট-থানাঘাট সড়কের কালভার্টটি দ্রুত মেরামত করা হবে।

305 Views

আরও পড়ুন

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১

বুক রিভিউ:সময়ের ছবি ‘নীরব কোলাহল’

মৌলভীবাজারে সোনার বাংলা আদর্শ ক্লাবের ৬ষ্ঠ মেধা যাচাই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

হাওরের জনপদ এখন উচ্চশিক্ষায় আরো এগিয়ে যাবে–ড. মোঃ আবু নঈম শেখ

রাবিতে গ্রীন ভয়েস এর নেতৃত্বে মাহিন-সিরাজুল

ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় মনিরকে

নাইক্ষ্যংছড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার !!

আগামী দিনের রাজনীতি হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার রাজনীতি: নাজমুল মোস্তফা আমিন

নাটোরে অস্ত্রসহ আওয়ামীলীগ নেতা ও তার সহযোগী আটক

দুর্লভ নিদর্শনে সমৃদ্ধ এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘর

রাবিতে ছাত্র উপদেষ্টার আহবানে গাছ থেকে পেরেক অপসারণ

শান্তিগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত