এস.এম.মাঈনুল হক:
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও কাতার। সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি ও বাংলা টিভি।
দুই দল এ পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে চারবার। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের সেই ১-১ ড্র বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি। পরের তিন ম্যাচে যথাক্রমে ৪-০, ৪-১ ও ৩-০ গোলে হার। ২০০৬ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের এক যুগেরও বেশি সময় পর ফের মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি।তবে এক বছরের বেশি সময় ধরে গড়া নিজের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ কোচ।
বাছাইয়ে আগামী বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতারের পথচলা শুরু দুর্দান্তভাবে; আফগানিস্তানকে ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে। বাংলাদেশের শুরুটা আফগানিস্তানের কাছে ১-০ গোলে হেরে। অবশ্য নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের সঙ্গে কাতার ড্র করেছে নিজেদের মাঠে।
হার দিয়ে বাছাই শুরু করা জীবন-জুয়েলদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ভুটানের সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে দুটিতেই। প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করেন ফরোয়ার্ড নাবীন নেওয়াজ জীবন। মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ, ফরোয়ার্ড রবিউল হাসান পেয়েছিলেন জালের দেখা। পরের ম্যাচে নায়ক ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান। দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আশবাদী বাংলাদেশ কোচ।
“আমরা জানি এটা কঠিন ম্যাচ হবে। ছেলেরা গত দশ দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে। ভুটানের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের জয়ে প্রস্তুতি ভালো হয়েছে; দল আত্মবিশ্বাসী। ভালো একটা ফল পেতে হলে আমাদের কাল সেরাটা খেলতে হবে”,
বলেন কোচ জেমি ডে।
ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন সুশান্ত ত্রিপুরা।
ইয়াসিন-রায়হান-রহমতদের সামলাতে হবে ডিফেন্স।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় এসে বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম প্রস্তুতি নিয়েছে কাতার। টার্ফে খেলতে অভ্যস্ত দলটি। প্রস্তুতিতে স্বাভাবিকভাবে ঘাসের মাঠে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। কাতারের স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেস ঘাসের মাঠ বা বৃষ্টি হলে সমস্যা হবে কিনা এমন প্রশ্নে পরিষ্কার বলে দিলেন, “যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো একদল পেশাদার খেলোয়াড় আমাদের আছে।”
একই প্রশ্নে বাংলাদেশ কোচ ডে অবশ্য দাবি করলেন সুবিধা পাওয়ার কথা।
তবে যে যাই বলুক বৃষ্টি হলে অবশ্যই বাড়তি সুবিধা পাবে বাংলাদেশ এবং ভারী বংগবন্ধু স্টেডিয়াম খেলোয়াড়দের নখদর্পনে।
আজ সন্ধ্যায় তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দেশের ১৬ কোটি ফুটবলপ্রেমী।মনে প্রত্যাশা থাকবে,সুদিন ফিরুক ফুটবলে।