ঢাকাশনিবার , ৪ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সিলেটের কিন ব্রিজ

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

তাইবুর রহমান,সিলেট প্রতিনিধি :

যান চলাচল বন্ধ করে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজকে পদচারী সেতুতে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েও তা থেকে সরে আসছে সিলেট সিটি করপোরেশন। নগরীর দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দাদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাতে নগরভবনে কিনব্রিজ খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামা নাগরিকদের সাথে বৈঠকে বসেন আরিফুল হক। বৈঠকে আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে এমনটি জানান মেয়র। মেয়র বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে পরামর্শ করে কিনব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আপনাদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ১৫দিনের মধ্যে এই সেতু দিয়ে রিকশা-বাই সাইকেল ও ভ্যানগাড়ি চলাচলের জন্য খূলে দেওয়ার ব্যাপারে তাদের সাথে আলোচনা করবো। তিনি বলেন, সেতুটি একেবারে জরাজীর্ন হয়ে পড়েছে। এটি সংস্কার করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। এই সময় সকলকে একটু কষ্ট সহ্য করতে হবে। কিনব্রিজের পাশে আরেকটি সেতুর দাবি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আরেকটু সেতু বানানোর প্রয়োজন নেই। তবে কিনব্রিজহের পাশে নদীর দুই প্রান্তের সংযোগকারী একটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এর প্রাথমিক কাজ শুরুও হয়েছে। বৈঠকে আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ কিনব্রিজে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় তাদের নানা দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। এরআগে গত ১ সেপ্টেম্বর সংস্কারের জন্য কিন ব্রিজ দিয়ে যান চলাছর বন্ধ করে দেয় সিটি করপোরেশন। ঐতিহ্য রক্ষায় সেতুটি দিয়ে যান চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও সেসময় জানিয়েছিলেন মেয়র। ১৯৩৩ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে সুরমা নদীর উপর নির্মিত এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। তবু প্রতিদিন এই সেতুর উপর দিয়ে সুরমা নদীর এপাড়-ওপাড় হয় অসংখ্য যানবাহন। ফলে দেখা দিয়েছে ঝুঁকি। এমতাবস্থায় সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৩ সালে সুরমা নদীর ওপর এই ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ব্রিজটির নির্মাণ শেষে ১৯৩৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল ক্বিনের নামে এই সেতুর নামকরণ করা হয় ক্বিন ব্রিজ। দৃষ্টিনন্দন লোহার পিঞ্জিরার ওপর লাল রং দেওয়া ব্রিজটির অবকাঠামো দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে সিলেট শহর থেকে পাক সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ঐতিহাসিক কিণ্ব ব্রিজে মাইন বিস্ফোরণ ঘটালে এর একাংশ ধসে যায়। পরে সরকার এটি পুনর্নির্মাণ করে।


211 Views

আরও পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্হান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি সংরক্ষণ করবে সি.ডি.এ

প্রেমের টানে চলে আসা খাসিয়া নারীকে ভারতে ফেরত

শনিবার যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

গাইবান্ধা শাহ সিমেন্টের প্রতিটি বস্তায় ৫/৭ কেজি পরিমাপে কম থাকায় দোকানসহ গোডাউন সিলগালা

মিথিলা শ্রেষ্ট শিক্ষার্থী আদমদীঘি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের ফলাফল ঘোষনা

নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়

রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ জনের মনোনয়ন পত্র জমা।

শেরপুরে ছাত্র কল্যান পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুক্তি পেছালো আল্লামা মামুনুল হকের

রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টি, সাথে তুমুল বজ্রপাত

চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় ছাত্র অধিকার পরিষদ এর নতুন কমিটি

পেকুয়ায় বজ্রপাতে দুই লবণ চাষির মৃত্যু