ঢাকা :
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। বিশেষ করে বুয়েটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আবরার হত্যার বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছে সেখানকার শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার রুয়েটের উপাচার্যকে একপর্যায়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
ওই সময় একজন নারী শিক্ষার্থীর কণ্ঠ বারবার শোনা গেছে। তিনি একের পর এক বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে গেছেন ভিসিকে। তাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন রশিদ খান নামের এক ব্যক্তি।
সেই স্ট্যাটাসটি এখানে তুলে ধরা হলো, ‘বুয়েটের আবরার ইস্যুতে গতকাল থেকে যতগুলো রিপোর্ট দেখেছি, সেখানে উচ্চস্বরে কেবল একজন বুয়েট ছাত্রীর শব্দ শুনি।
গতকাল পুলিশের চোখে চোখ রেখে বলতেছে,
-আঙ্গুল তুলে কেন কথা বলতেছেন আমাদের সাথে?
বুয়েটের শেরে বাংলা হলে পুলিশ প্রবেশের পর সকল ছাত্র-ছাত্রী সম্মিলিতভাবে পুলিশকে হল থেকে বের করে দেয়। সেখানে এই মেয়ের সাহসী উচ্চারণ
-কার অনুমতি নিয়ে আপনারা আমাদের হলে প্রবেশ করেছেন?
আজকে ভিসিকে বলতেছে,
-আপনার ছাত্রকে মেরে ফেললো আপনি ঘরে বসে আছেন। আপনি কেমন ভিসি ক্যাম্পাসে আপনার ছাত্রের জানাজা হচ্ছে। কিন্তু আপনি উপস্থিত থাকেন না?
আজকে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালককে প্রশ্ন করতেছে
-স্যার, আপনার ছাত্রদেরকে ধরে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, আপনি কিসের ছাত্র কল্যাণ দেখেন?
কী অদ্ভুদ একটা শক্তি এই মেয়েটার কণ্ঠে। সে ভুয়া উচ্চারণ শুরু করে, বুয়েটের সমগ্র ক্যাম্পাস ভুয়া ধ্বনিতে প্রকম্পিত হতে থাকে।
মেয়েটার নাম জানি না। এসব অদম্য সাহসী মানুষের নাম জানারও দরকার হয় না। কিছু মানুষের “ভোকাল” তার নতুন পরিচয় হয়ে ওঠে। সময় এসব আড়ালে থাকা চেহারাকে নিজের প্রয়োজনে সামনে নিয়ে আসে।
স্পার্ক রূপে, জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি রূপে অথবা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা রূপে।’
সুত্র : কালের কণ্ঠ