মো:শাহাদাত হোসেন রামু থেকে
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ও পার্শ্ববর্তী রামুর বিভিন্ন পূজা মন্ডপ গুলোতে জমকালো আয়োজনে শেষ হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। গেল শুক্রবার ঘটি পূজার মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজার মুল আনুষ্টিকতা শুরু হয়ে ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার মহা দশমিতে পতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে পূজার সমাপ্তি হবে বলে জানান, আয়োজনকরা। এর মধ্যে মন্ডপ গুলোতে ভক্ত ও দর্শাথীদের ভিড়ে তিল ধরাও ঠাই মিলেনি। এদিকে দুর্গোৎসবকে ঘিরে উল্লেখিত দু, উপজেলায় উৎসবমূখর পরিবেশে পূজা উদ্যাপনে প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাত্মক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান।
উল্লেখিত, দু উজেলায় মোট ২২টি মন্ডপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে রামু উপজেলায় ১৯ টি, আর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩ টি মন্ডপ রয়েছে। রামুর মন্ডপ গুলোর মধ্যে বেশির ভাগই রামু সদরে। আর বাকী গুলো কাউয়ারকুপে ১ টি, কচ্ছপিয়ায় ১টি এবং ঈদগড়ে ১ টি মন্ডপ রয়েছে। আর নাইক্ষ্যংছড়ির ৩ টির মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে একটি, বাইশারী ও ঘুনধুমে একটি করে মন্ডপ রয়েছে।
এদিকে, ৬ অক্টোবর রবিবার রাতে, রামু পূর্বাঞ্চল প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান সোহেল ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক এম সেলিমের নেতৃত্বে, রামুর কচ্ছপিয়া পূর্ব তিতার পাড়া দূর্গা মন্দিরে পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করে, সবাইকে সারদিয়া শুভেচ্ছা জানান। কচ্ছপিয়া পূজা কমিটির সভাপতি সজল শর্মা এবং সাধারণ সম্পাদক সুবধন দাশ জানান, এবছর দুর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। এই এলাকায় হিন্দু মুসলিম সবাই এই পুজা উপভোগ করেছেন। এলাকার সবার মাঝে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভবনা নেই বলে জানান তারা।
রামু থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের জানান, পুজাকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতোই পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পূজায় ৫ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান, ওসি রামু।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার জানান, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ।