ঢাকাসোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪
মুহা. ইকবাল আজাদ
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৮১ জন। যা মোট নমুনা পরীক্ষার ২০.৮১ শতাংশ। পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করেছেন চিকিৎসাধীন থাকা ২২ জন আক্রান্তকারী। যাদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন এবং মহিলা ৩ জন। তাছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮১৬ জন। আজ (সোমবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা নিয়মিত অনলাইন প্রেস বুলেটিনে এ কথা জানান।
গতকাল দেশে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫৪৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৪০ জন করোনা রোগী। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছিলেন ৪০৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১০ হাজার ১০৫৯৭ জন রোগী।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৫২টি ল্যাবে নিয়মিত করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। তার মধ্যে ঢাকার শহরের ২৮টি ল্যাব এবং ঢাকার বাহিরের ২৪টি। গত একদিনে নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩১০৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১১১৩৯টি। এ পর্যন্ত মোট ৩২০৩৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
শেষ কয়েকদিনে জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলা আক্রান্তকারীর সংখ্যা ইতিমধ্যে ৪৯ হাজার ছাড়িয়েছে। আজকের আক্রান্তসহ মোট রোগীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৫৩৪ জন। পাশাপাশি মৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭২ জনে। আজকের মৃত রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জন, সিলেট বিভাগের ২ জন এবং বরিশাল বিভাগের ১ জন।
গতকাল থেকে আজ করোনা রোগী হ্রাস পেয়েছে ১৬৪ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সুস্থতার হার ২১.৩৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। বিভাগ অনুসারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ঢাকা বিভাগে। মোট আক্রান্তকারীর সিংহভাগ ঢাকা শহরে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ৩জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ই মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যু ঘটে। গত একমাস ধরে দেশে করোনায় আক্রান্তকারী এবং মৃত্যুর সংখ্যা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
বিশ্বখ্যাত ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডমিটারস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬২ লাখ ছাড়িয়ে ৬৩ লাখের পথে। পাশাপাশি মৃত রোগীর সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে করোনায় মৃত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজারেরও বেশি। করোনা আক্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে। যেখানে আক্রান্তকারীর সংখ্যা ইতিমধ্যে ১ মিলিয়ন অতিক্রম করেছে। সেখানে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৩৭ হাজার এবং মৃত্যু ১ লাখ ৬ হাজার ছাড়িয়ে।
