শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)থেকে::
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলায় এবার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ।
সূত্র জানাযায়, করোনা সনাক্ত শিক্ষক নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলার পুরাতন বাসষ্টেশন এলাকার ইসলামপুর গ্রামের। তিনি একজন হার্টের রোগী। ওই শিক্ষক চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম হাসাপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আসার পর জ্বর, কাশিসর্দি রোগে আক্রান্ত হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে করোনা উপসর্গের কথা জানতে পেরে চিকিৎসক নমুনা সংগ্রহ করেন।
শনিবার (৩০ মে ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আবু জাফর মো, ছলিম খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্ত শিক্ষকের বয়স ৫৭ বছর।
স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো, ছলিম জানান, গত ২৫ মে ওই সহকারি শিক্ষকের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছিলো।
আজ ৩০ মে শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় ল্যাব থেকে ফোনে ওই সহকারি শিক্ষকের নমুনার ফলাফল পজেটিভ বলে নিশ্চিত করা হয়।
তবে তাঁর পরিবার ও সংস্পর্শ ব্যক্তিদেরকে বলা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার জন্য। কাল রিপোর্ট পত্র আসার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি।
আর এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলায় প্রথম বারের মতো করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মানুষের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, সহকারি প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়ীসহ যাতায়ত রাস্তার আশপাশে সংস্পর্শ ব্যাক্তিদের ঘর-বাড়ি লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ২জন দ:ঘুমধুম হেডম্যান পাড়া ১জন,কচুবুনিয়া ১জন, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের কম্বোনিয়া গ্রামের ৪ জন করোনা সনাক্ত হওয়ার পর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসার পাওয়ার পর সুস্থ হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে ঘরে ফিরেন।
———————