ফরহাদ আমিন:
সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা”কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কর্মশালা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।কক্সবাজার জেলা পুলিশের আয়োজনে বুধবার(২অক্টোবর)সকাল১০টায় হোটেল ওশান প্যারাডাইস হলরুমে কমিউনিটি রিকভারি এন্ড রেজিলেন্স প্রজেক্ট,ইউএনডিপির সহযোগীতায় পরিচালক মাসুদ করিম রিপনের সভাপতিত্বে কনসালটেন্ট ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু বক্কর (পিপিএম)এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি সোহেলী ফেরদৌস।বিশেষ অতিথি ছিলেন,কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন (বিপিএম),অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন,ইউএনডিপির সাব-অফিস প্রধান ট্রেভর ডি ক্লার্ক,কক্সবাজার সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম।কমিউনিটি কার্যক্রম ও সমস্যার বিষয়ে প্রশ্ন করেন,টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি নুরুল হুদা,উখিয়া কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কায়ছার,টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের দপ্তর সম্পাদক মোঃ হেলাল, পৌর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হোসাইন,হোয়াইক্যং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি হারুন রশিদ সিকদার,বাহারছড়া কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি আজিজ উল্লাহ,হৃীলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি নজরুল ইসলাম খোকন,সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ও প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আইজি সোহেলী ফেরদৌস বলেন,উখিয়া-টেকনাফে সমাজে পুলিশের ভূমিকায় কাজ করা এবং পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাই হলো কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ।আপনারা যারা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য,পুলিশ বাহিনীর সাথে সহযোগি হিসেবে কাজ করছেন,দেশ গঠনে ভূমিকা রাখছেন,সমাজে অনেক সামাজিক অপরাধ রয়েছে যেমন বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ,নারী নির্যাতন ইত্যাদি পুলিশ ও আদালতের পক্ষে একা দমন করা সম্ভব নয়।কমিউনিটি পুলিশিংয়ে যারা কাজ করেছে তাদেরকেও পুরস্কৃত করা হবে।
কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেছেন।আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই-যদি কেউ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের গায়ে হাত তুলে,তবে তাকে কোন অবস্থাতে ছাঁড় দেওয়া হবে।আমরা এই কমিউনিটি পুলিশিংটা মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চাচ্ছি।বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর সব দেশেই এটা আছে।রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ইয়াবা পাচার বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।কর্মশালার আয়োজনে দায়িত্বে ছিলেন,কক্সবাজার জেলা প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর চৌধুরী মোহাম্মদ খালিদ হোসেন এরশাদ।