ঢাবি প্রতিনিধি :
মুক্তচিন্তার অভয়ারণ্য, দেশের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে “ডাকসু” কর্তৃক এখতিয়ার বহির্ভূত, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে ধর্মভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবগ্রহনের প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে “বিক্ষোভ মিছিলের” ডাক দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমনা শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মুক্তমনা শিক্ষার্থীরা বলেন,
ক্যাম্পাসে যখন ছাত্রদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে জোর আন্দোলন শুরু হয়েছে, সাত কলেজ অধিভূক্তি, বৈধ সিট ও গেস্ট রুম বিরোধী আন্দোলন ফ্যাসিবাদী দল ও নির্লজ্জ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে, ঠিক তখন অনির্বাচিত ও অবৈধ ডাকসুর নেতারা ক্যাম্পাসে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে নতুন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
কে কোন রাজনীতি করবে বা না করবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা ডাকসুর নেই। বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেককে তার আদর্শ অনুযায়ী রাজনীতি করার অধিকার দেয়। সুতরাং ডাকসুর এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশর সংবিধানের ধারা ৭ এর ১,২, ২৮ এর ১ ও ৩ , ৩৭ , ২৬ এর ১ও ২ , ৩৬ , ৩৮ এর ক , খ, গ, ঘ , ৩৯ এর ১ ও ২ এর ক , ৪১ এর ১ এর ক, খ, এবং ৪১ এর সাথে সাংঘর্ষিক। যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন সংগঠন সন্ত্রাস ও উগ্রবাদে না জড়ায়, সেখানে নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ খেলা করে একদল ছাত্রের রাজনৈতিক মতকে রুদ্ধ করা একটি ফ্যাসিবাদী আচরণ।
আমরা বিশ্বাস করি, ক্রমাগত তর্ক, বিতর্ক ও দ্বন্দের মাধ্যমে একটা সমাজ তার অভীষ্ট লক্ষ্যের পথ খুজে পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে দেশকে সহাবস্থান ও সহযোগিতার রাজনীতির দিকে পথ প্রদর্শন করবে, এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। ঠিক সেই সময় এরকম একটি সিদ্ধান্ত ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করি।
আমরা যারা মুক্তচিন্তার ঢাবিতে বিশ্বাস করি, তারা এই ফ্যাসিবাদী আচরণ মেনে নিতে পারিনা। আমাদের মত ভিন্ন, কিন্তু লক্ষ্য একমাত্র ফ্যাসিবাদের বিলোপ। সেই লক্ষ্য কে সামনে রেখে আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ জানাতে একত্রিত হচ্ছি।
আগামীকাল দুপুর ১২টায় সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :