মো.মিজানুর রহমান নাদিম,বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীর তাতীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের অনিয়ম ও সে”ছাচারিতার কারনে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অনিশ্চয়তা ও জাতীয় পতাকা না টানিয়ে স্কুল পরিচালনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক স্কুলে না গিয়ে ব্যাক্তিগত কাজে প্রায়ই তালতলীতে থাকেন ও স্কুলে গেলেও ক্লাশ না করে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়। সরকারি নিয়মনিতির তোয়াক্কা না করে ই”েছমত চালান সে বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় দেড়শতাধিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মাত্র তিনজন শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের অনিয়ম ও সে”ছাচারিতার কারনে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অনিশ্চয়তায়র ভিতর রয়েছে বলে জানান ¯’াণীয়রা। বিদ্যালয় সরকারি অনুদান আসলে তার পকেট ভারি করে কাজ না করিয়ে আজ করবে কাল করবে বলে শুধু ঘুরাতে থাকে। শিক্ষার্থীদের স্বা¯’্য সম্মত টয়লেট ও বেঞ্চের অব¯’া খুবই করুন। বিদ্যালয় নেই জাতীয় পতাকা। এ সব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে ইতিপূর্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাকে তিনবার শোকজ করেছেন। মৌখিকভাবে শতর্ক করেছেন বহুবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোমবার সাড়ে ১২ টার দিকে বিদ্যালয়ে গেলে প্রাধান শিক্ষক কে স্কুলে পাওয়া যায়নি ও দেখা যায়নি জাতীয় পতাকা টানানো। ১টি ছেড়া পতাকা দেখা গেছে বিদ্যালয় ভবনের দরজার কপাটের সাথে ঝুলানো দেখা গেছে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুঠো ফোনে জানানো হলে সে বিদ্যালয়টিতে তাৎক্ষনিক পরিদর্শনে এসে ঘটনার সত্যতা পান।
নাম প্রকাশ করতে অনি”ছুক একাধিক অবিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রধান শিক্ষক সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না এবং আসিলেও ক্লাশ করেনা। এভাবে চলতে থাকলে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়বে। এনিয়ে আমাদের বা”চাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। প্রধান শিক্ষক স্কুলের পরিবেশ ঠিক করে নিয়মিত ক্লাশ করার দাবী জানান।
প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমি স্কুলে আসি বা না আসি তাতে আপনাদের কি। আপনারা পারলে আমার যা পারেন করিয়েন। আমার অফিসারের কাছে জবাব দেব।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল আলম জানান, ঘটনা স্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।