সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্নীতি-লুটপাটসহ নানা অনিয়মে অভিযুক্ত ও বিতর্কিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকারকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। তাকে আগামী ১৬ অক্টোরের মধ্যে নতুন কর্মস্থল চট্রগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় যোগ দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-সচিব (উপ-পরিচালক-প্রশাসন-১) লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলির আদেশ দিয়েছেন। গাইবান্ধার ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আলহাজ্ব মো. ইদ্রিস আলী পিআইও নুরুন্নবীর বদলির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । তিনি বলেন, জনস্বার্থ ও প্রশাসনিক কারণে পিআইও নুরুন্নবীকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে বদলি করে চট্রগ্রামের সন্দ্বীপে যোগদানের আদেশ জারি করেছে সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর’।
পিআইও নুরুন্নবী ২০১৫ সালে সুন্দরগঞ্জে যোগদান করেন।যোগদানের পর থেকেই নানা রকম অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন তিনি । ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে পিআইও নুরুন্নবীর নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে প্রমাণ পায় সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। দুর্নীতি-লুটপাটের ঘটনায় ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৮ অর্থ বছরে নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক চারটি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে স্থানীয় এক ঠিকাদারের দায়ের করা একটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারধীন। দুর্নীতি ও মামলার কারণে তাকে বদলিও করা হয়। কিন্তু আদালতে মামলা করে সেই বদলির আদেশ ঠেকায় পিআইও নুরুন্নবী।
এরপর থেকে আরও বেপরোয়া অনিয়ম-দুর্নীতি, লুটপাট এবং ক্ষমতার দম্ভসহ বিভিন্ন কারণে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়ে উঠেন পিআইও নুরুন্নবী। তিনি দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও ঘুষ বাণিজ্যে পিআইও’র আস্থাভাজন হয়ে উঠেন পৌর এলাকার আবদুল হালিম। আবদুল হালিম অফিসে বসেই দেনদরবারসহ নিয়মিত দাপ্তরিক কাজও করতেন। ফলে অল্প সময়ে দিনমজুর থেকে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হন আবদুল হালিম। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর থেকে অনেকটাই লাপাত্তা হালিম। এমনকি তাকে অফিস ও আশপাশের এলাকাতেও দেখা যাচ্ছেনা।