ঢাকাসোমবার , ২০ মে ২০২৪
  1. সর্বশেষ

বাঁশ ও বেতের কাজ করে সাবলম্বী মনোয়ারা

প্রতিবেদক
নিউজ ভিশন
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২:২৫ অপরাহ্ণ

Link Copied!

জাবেদ ভূঁইয়া,মিরসরাই (চট্টগ্রাম):

মনোয়ারা বেগম। এক সংগ্রামী নারীর নাম। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, হয়েছেন সাবলম্বী। প্রচেষ্টা একজন মানুষকে বদলে দিতে পারে তার প্রমাণ মনোয়ারা। ১৯৮২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী এই নারী মিরসরাই উপজেলার ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়নের বদিউল্লাহ পাড়া গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা ছিল দিনমজুর, লাকড়ী কেটে সংসার চালাতো। অভাব অনটনের শুরু ছিল কিন্তু শেষ ছিল না। চার ভাই এক বোনসহ ছয় জনের ভরনপোষণ চালানো হতদরিদ্র বাবার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।

ধারদেনা এত বেশি হয়ে গিয়েছিল যে তা শোধ করতে শেষ সম্বল ভিটেবাড়িও বিক্রি করতে হয় তাকে। পরবর্তীতে করেরহাট ইউনিয়নের ঘেড়ামারা গ্রামে চার শতক জমি কিনে পাহাড়ী এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। ছিল অভাবের সংসার তাই পড়ালেখা করার সুযোগ হয়ে উঠেনি মনোয়ারার। বাবা-মায়ের চিন্তা ছিল কিভাবে মনোয়ারাকে বিয়ে দিবে। তার বয়স যখন ১৮ বছর তখন পাহাড়ি শ্রমিক আবুল কাশেমের সাথে বিয়ে হয় তার। তাদের সংসারে আসে এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

মনোয়ারা বেগমের চিন্তা ছিল কিভাবে এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে সুন্দরভাবে সংসার চালানো যায়। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস তার বড় মেয়ের বয়স যখন ১০ বছর তখন তার স্বামী হৃদরোগে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর মনোয়ারার জীবনে নেমে আসে দূর্বিসহ অন্ধকার। তার ভবিষ্যৎ প্রায় এলোমেলো, কিভাবে ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চালাবে। তার পরিবার চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে লাগল সে। অভাবের তাড়নায় ক্ষুধার জ্বালায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে একবেলা খাবার জুটতো তো অন্য বেলা উপোস থাকতে হতো। শেষ পর্যন্ত ছেলেমেয়ে নিয়ে নিরুপায় হয়ে সমাজের অবহেলিত কাজটা হাতে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে লাগল। ভিক্ষা করতে গিয়েও শান্তি নেই মনোয়ারার।

মানুষের অবহেলা আর তিরস্কার নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকতেন এরই মধ্যে এলাকার স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে এবং অন্যান্য উদ্যোমী সদস্যদের মাধ্যমে অপকার উদ্যোমী সদস্য পুর্নবাসন প্রক্রিয়ার কথা জানতে পেরে অপকার নিকট দারস্থ হন মনোয়ারা। একপর্যায়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও অপকার কর্মকর্তারা সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে, উদ্যোমী সদস্য পুর্নবাসন কার্যক্রমের আওতায় মৃত কালু ত্রিপুরার পরিবর্তে মনোয়ারা বেগমকে ৬৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যা দিয়ে আয়বৃদ্ধিমূলক খাত বাহির করে গরু-ছাগল, মুরগী, কবুতর ও বাঁশ বেতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, সাথে তাকে এক মাসের ভরণপোষনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। একমাত্র ছেলে সোহরাব হোসেন দিদারকে জোরারগঞ্জ তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় হেফজ পড়াচ্ছেন। ছোট মেয়ে বিবি ফাতেমা করেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অন্য মেয়ে বিবি ছকিনা অন্যের বাসায় কাজ করে।

অপকার নির্বাহি পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, বাঁশ-বেতের কাজ, মুরগী ও কবুতর পালন করে পরিবারের ভরণপোষন ও চিকিৎসাসহ আনুষাঙ্গিক খরচ মিটাতে পারে মনোয়ারা। তার ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন সে সুখী। ভিক্ষার মত ঘৃনীত কাজ করতে অন্যকে নিরুৎসাহিত করে সে। সে এখন ভিক্ষা করে না বরং অন্যকে ভিক্ষা দেয়। অপকা এবং পিকেএসএফ’র এই ধরনের সহযোগিতা পেয়ে তিনি বসবাসের জন্য একটি নতুন ঘর নির্মাণ করেন।

138 Views

আরও পড়ুন

রাবির বিডিএসএফ মানেই নতুনত্ব

কক্সবাজার রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকা থেকে ৪ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ০১।

মৌলভীবাজারে ফেসবুকে মহানবী (সা) কে নিয়ে কটুক্তি, যুবক গ্রেফতার

নাগরপুরে শপথ নিলেন প্রাথমিকের নবনির্বাচিত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ

মৌলভীবাজার শেরপুরে উন্নয়ন পরিষদের বৃক্ষচারা রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন 

আদমদীঘিতে জানালার গ্রিলে বৃদ্ধের ঝু*ল*ন্ত লা*শ

আদমদীঘিতে গাঁজা ও এ্যাম্পুলসহ গ্রেফতার- ৩

দোয়ারাবাজারে গাঁজা ও ইয়াবাসহ তিনজন আটক

শেরপুরে আন্তঃজেলা গরু চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার ও চোরাই গরু উদ্ধার

বিচ্ছুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

শারমিন মীমের কবিতা “ভেজাল”

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২