মানবাধিকার প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
আইনের ফাঁকে বাধা পড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপের বিচারক হবার স্বপন্ন পূরণ না হলেও সে এবার চাকুরী পেতে যাচ্ছে পিএইপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফী মিজানুর রহমানের মহানুভবতায়। সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ আয়োজিত ‘একসেস টু জাস্টিস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় অনুষ্ঠানের প্রধানবক্তা পিএইচপি’র চেয়ারম্যান সুদীপের দুঃখের কথা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা দেন যে, আইনের মেধাবী শিক্ষার্থী সুদীপ দাশ সুদীপ্তকে পিএইচপি ফ্যামিলি পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ইউ,আই,টি,এস এর আইন বিভাগে তার যোগ্যতা অনুসারে তাকে চাকুরী দেয়া হবে। মানবাধিকার আইনজীবী এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসানের প্রস্তবনায় পিএইচপি চেয়ারম্যান উক্ত ঘোষণা প্রদানকালে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম, মডারেটর মানবাধিকার নেত্রী এডভোকেট এলিনা খান, বিশেষ অতিথি যথাক্রমে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন, মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান সহ বিপুল সংখ্যক বিজ্ঞ বিচারক, আইনজীবী, শিক্ষাবীদ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ডাক্তার, পুলিশ কর্মকর্তা, এন,জি,ও, প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিচারপ্রার্থী জনগণ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশায় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুদীপ দাশ সব বাধা পেরিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্মাতক ও øাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। স্বপ্ন দেখেন বিচারক হওয়ার, কিন্তু আইনই তার এ স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। একাধিকবার জুডিশিয়াল বিজেএস সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত প্রচলিত আইনের কারণে শ্র“তিলেখক না পেয়ে হল থেকে বেরিয়ে আসতে হয় তাকে চরম হতাশা নিয়ে। পরীক্ষায় প্রবেশপত্র পেলেও শ্র“তি লেখক পাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেনি কর্তৃপক্ষ অথচ বিসিএস পরীক্ষাও শ্র“তি লেখক পাওয়ার সুযোগ আছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সার্কুলারে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অংশ গ্রহণের সুযোগ নেই। চাকুরী ক্ষেত্রে এমন বৈষম্যের বিষয়টি সুদীপ সেমিনারে তুলে ধরলে পিএইচপি চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমান তাকে আইন বিভাগে চাকুরী প্রদানের স্বপ্ন ব্যক্ত করেন। এজন্যে তাঁকে উপস্থিত সকলে অভিনন্দন জানান।