মুহা. ইকবাল আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের আঁতুড় ঘর ধরা হয় শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামকে। রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিপিএল, আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেট ম্যাচ। প্রতিটি ম্যাচেই দর্শকদের রবে মুখরিত হয় পুরো মিরপুর পাড়া। আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে দেখা যায় ক্রিকেট প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে একত্রিত হয় ব্যাট বলের প্রেমে। কিন্তু স্টেডিয়ামে প্রবেশের সুযোগ হয় না সবার। কালোবাজারির হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে তাদের প্রবেশ পথ। তাই তো টিকেট সংকটে আক্ষেপ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় অনেকের। ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আবেগকে পুঁজি করে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে কালোবাজারিরা। নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হয় একেকটা টিকেট। কখনো তাতেও মেলে না টিকেট প্রাপ্তি। অথচ সাধারণ দর্শকদের ক্রিকেট প্রতি ভালোবাসাকে মূল্যায়ন করছে না বিসিবি। সিকিউরিটি গার্ডরা দিচ্ছে না পর্যাপ্ত সিকিউরিটি। বরং বিসিবির নিরাপত্তা কর্মীরাও জড়িত এসব কালোবাজারির সাথে। রাস্তার মোড়ে দেখা যায় পুলিশ কিংবা কার্ড ঝোলানো নিরাপত্তা কর্মীদের চড়া মূল্যে টিকিট বিক্রি করতে।
শুধু টিকেট নয়, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সর্বত্র। গতকাল বিসিবির বিরুদ্ধে পরিচ্ছন্নতার অভিযোগ দর্শকদের মুখে প্রায়ই শোনা যাচ্ছিলো। ৪ নং গেইটের ডান পাশের খোলা অংশে ময়লার স্তুপ দেখলে অনেকে ভুলেই যাবে এটা স্টেডিয়াম। মৃদু বাতাসে পলিথিন পোড়া গন্ধ বিরক্তি ভাব ফুটিয়ে তুলছে দর্শকদের মনে। এ বিষয় নিয়ে একজন দর্শক বলেন, ‘পলিথিন পোড়ানো ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলের মারাত্মক ক্ষতি করে। স্টেডিয়ামের সম্মুখভাগে পলিথিন পুড়িয়ে এভাবে ময়লার স্তুপ করে রাখা বিসিবির থেকে আশা করিনি। পাশাপাশি আসন সংকট এবং ময়লা ওয়াশরুমের প্রতি বিসিবির নজর দেওয়া উচিত। বিশ্বের এত বড় প্রতিষ্ঠানে যদি এমন অপরিচ্ছন্নতা থাকে, এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
প্রসঙ্গত, বিসিবি মিরপুর স্টেডিয়ামের আসন সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রান্ড স্টান্ডে কাজও করেছে। অন্যান্য আসনেরও পরিবর্তন, পরিমার্জন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু সিট সংকটসহ, স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য বর্ধনের এমন বক্তব্য পূর্বে আসলেও তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। ভিআইপি গ্যালারির কাজ শেষ করে কবে নর্থ, সাউথ কিংবা ইস্ট গ্যালারির কাজ শুরু হবে তা দর্শকদের আগ্রহের প্রতীক হয়ে থাকবে।