আমজাদ হোসেন হৃদয়:
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা একটি বিশ্বজনীন সমস্যা। বিশেষ করে আগামীর কর্ণধার শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ আক্রান্ত এই সমস্যায়। এই থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছে বিশ্ব। এই সমস্যা থেকে উত্তরণ এবং সচেতনতার লক্ষ্যেই চলতি বছর তথা ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল মোহাম্মদ তানসেন এবং রাফিয়া তাসনিম রিফার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংগঠনটি।কিছু উদ্যমী তরুণ শিক্ষার্থী যারা দেশ ও জাতির সেবায় নিবেদিত হয়ে কাজ করছে এই সংঠনে।
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে আঁচল ফাউন্ডেশন।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারনে ফ্রাস্ট্রেইশন, ডিপ্রেশনে ভুগে। ইমোশনাল পেইনটাকে অতিক্রম করতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়।
আঁচল ফাউন্ডেশন চায় শিক্ষার্থীরা যেন নিজেই মানসিক সমস্যা গুলো বুঝতে পারে। ডিপ্রেশনের লক্ষণ গুলো নিজেরাই ধরতে পারে। একই সাথে নিজের বন্ধু,আত্মীয়, পরিবারের কেউ মানসিক সমস্যায় ভুগলে তাদের প্রতি সাপোর্টিভ হতে পারে।
এসব বিষয়ে সচেতন করার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে সেমিনার, ওয়ার্কশপ,ক্যাম্পেইন ইত্যাদি আয়োজন করা হয়।
তাছাড়াও শিক্ষার্থীরা কিভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করবে, কিভাবে তারা এই ব্যাপারে অন্যের সাহায্য নিবে, কেউ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তা থেকে পরিত্রানের উপায়, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরামর্শ এবং চিকিৎসা নেওয়া এবং সর্বোপরি মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক ও বিষয়ের ট্রেনিং দেওয়াও আঁচল ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য।
ইতিমধ্যে আঁচল ফাউন্ডেশন ডাকসুর সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করেছে ” আয়োজন করেছে “বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যা প্রবণতা: জানি বুঝি হাত বাড়াই’ শীর্ষক সেমিনার। তাছাড়াও আত্মহত্যা ও মানসিক সমস্যা সচেতনতার লক্ষ্যে ক্যাম্পেইন এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুনছে হতাশা ও মানসিক সমস্যার কারণ এবং বাতলে দিচ্ছে উত্তরণের পথ এবং ট্রেনিংয়ের ব্যাবস্থা। মানসিক সমস্যা নিয়ে সংগঠনটির আছে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এ সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি তরুণ সংগঠক মোহাম্মদ তানসেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মানুষ যেভাবে আত্মহত্যা ও বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছে তার থেকে যাতে মানুষকে সচেতন করা যায় তার লক্ষ্যেই আমরা এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। মানুষের কাছে যাতে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য। আগামীতে আমরা আরও বিভিন্ন পোগ্রাম, সেমিনার এবং ট্রেনিংয়ের আয়োজন করব’।