ঢাবি প্রতিনিধি :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের হামলার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরস্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে তিন দফা দাবিসহ প্রশাসনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
১. হামলাকারীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় এনে স্থায়ী বহিস্কার করতে হবে।
২. ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামলার ঘটনায় কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
২৩ সেপ্টেম্বর পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে তিনজন সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ২৪শে সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দুপুর ২ টায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড়। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে কলম-ক্যামেরায় কিসের এত ভয়, আশ্বাস নয় বহিষ্কার চাই সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড লক্ষ করা গেছে।
মানববন্ধন শেষে বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শুরু করে ডাকসু ভবন, মধুর ক্যান্টিন সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাপ্ত করেন।
মানববন্ধনে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল মেহেদি মুহতাসীম নিবিড় বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের উপর হামলার ভিডিও ধারন করায় সাংবাদিকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার। এখানে সকলের মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। পরে তিনি হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ সময় ছাত্রলীগের হামলার শিকার আফসার মুন্না বলেন, আমি বিজনেস বাংলাদেশে কাজ করি। গতকাল ক্লাস শেষে আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে টিএসসিতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি টিএসসিতে মারামারির ঘটনা ঘটছে। পরবর্তীতে পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে আমি একটি ছবি নিতে যাই । আমি ছবি নিতে গেলে আমার উপর প্রথমে আক্রমণ করে আপেল মাহমুদ । আমার উপর আপেল মাহমুদ আঘাত করায় তার দেখাদেখি অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাকে মারধর শুরু করে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন মাহী বলেন,আমাদের তিন দফা দাবি পালন না হলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, যেখানে সাংবাদিকরা নিরাপদ নয় সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিরাপদ থাকে।