রাফিউল ইসলাম (রাব্বি) স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর:
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, সরকার প্রহসনের নির্বাচন করছে। ইভিএম দিয়ে ভোট চুরির গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করছে। ইভিএম এ আমাদের ন্যূনতম কোনো আস্থা নেই। তবে সরকারের ভোট চুরির সিস্টেমের প্রতিবাদ এবং জনগণকে তা দেখিয়ে দেওয়ার জন্যই আমরা রংপুর-৩ আসনের উপ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। মহাজোট প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সকল সীমা ছড়িয়ে পার করলেও নির্বাচন কমিশন চুপচাপ।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় রংপুর মহানগরীর কাচারী বাজার এলাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রিটা রহমানের পক্ষে নির্বাচনি গণসংযোগ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভানেত্রী ও জেলা সভানেত্রী সাবেক এমপি শাহিদার রহমান জোসনা, বিএনপির জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, সুলতানুল আলম বুলবুল, জেলা সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
বিএনপি নেতা দুলু আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার ভয়ে কারাবন্দি করে রেখেছেন। কারণ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হলে দেশে গণঅভ্যুত্থান হবে। সেই অভ্যুথ্যানে আওয়ামী লীগের কবর রচিত হয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। মানুষ স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন। মানুষ মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে। তাই খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই সরকারের ভোট চুরির কৌশল দেখতে শেকল বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান অভিযোগ করে বলেন, এই ভোটে মহাজোট প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা পাইনি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তার হাত-পা বাধা।
প্রার্থীর অভিযোগ, আমাদের নেতাকর্মীদের নামে নতুন নতুন মামলা দেওয়া হচ্ছে। তারা রাস্তায় বের হতে পারছেন না। হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। মহাজোটের পরীক্ষিত নেতাকর্মী প্রিজাইটিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিভাবে ইভিএমে ভোট চুরি করা যাবে। সেজন্য মহাজোট নেতাকর্মীদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে।
গত ১৪ জুলাই রংপুর সদর তিন আসনের এমপি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর ১৬ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৫ অক্টোবর এই আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এখানে বিএনপির রিটা রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ারসহ ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রংপুর সদর উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর এলাকা নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৪১ হাজার ৬৭৩ জন। এই আসনে ভোট কেন্দ্র ১৭৫টি, ভোট কক্ষ এক হাজারটি রয়েছে।