গোলাম মোস্তফা টুটুল, সিরাজগঞ্জঃ
.
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে (কাজিপুর ও সদর উপজেলার একাংশ) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ও সিরাজগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা শাহিনুর আলম সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, সাধারণ গ্রামাঞ্চল এমনকি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে দিনভর তার এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
দিনের শুরু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফর দিয়ে:
সকাল ৮টায় সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ভেওমারা মারকাজুল উলুম কওমি মাদ্রাসা থেকে মাওলানা শাহিনুর আলমের গণসংযোগ শুরু হয়। সেখান থেকে তিনি একে একে ছোনগাছার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। ইটালি প্রাইমারি স্কুল, বালিঘুগরি প্রাইমারি স্কুল, ভেওমারা স্কুল, শহীদ আহসানুল হাবিব উচ্চ বিদ্যালয় ও ভাটিপিয়ারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান সফরের সময় তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। প্রার্থী সরাসরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শিক্ষার উন্নয়ন ও তরুণ প্রজন্মের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
হাট-বাজারে ব্যাপক সাড়া
বাদ যোহর পাচঠাকুরি যমুনা বাজারে অনুষ্ঠিত গণসংযোগে প্রার্থীর উপস্থিতিতে বাজার এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের ভিড়ে গোটা বাজার সরব হয়ে ওঠে তার সমর্থনে। এসময় মাওলানা শাহিনুর আলম জনগণের উদ্দেশে বলেন,
“বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়তে হবে। সেই সমাজ গঠনে জামায়াত ইসলামী ছাড়া বিকল্প নেই। আগামী নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাদের ভোট ও সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তার বক্তব্যে জনগণের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা তাকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি নানান সমস্যার কথা শোনান, যা মনোযোগ সহকারে শোনেন প্রার্থী।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময়
গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাওলানা শাহিনুর আলম ছোনগাছা ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতিশ্রুতি দেন। একইসাথে নির্বাচনে তাদের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
জনগণের প্রতিক্রিয়া
দিনব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে প্রবীণ জনগণ পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে সরাসরি মতবিনিময় করেন প্রার্থী। অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন পর তারা একজন প্রার্থীকে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন।
.
পুরো দিনের গণসংযোগে প্রতীক দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ব্যাপক সাড়া ও সমর্থনের আবহ লক্ষ্য করা গেছে। প্রার্থীর সততা, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ন্যায়নিষ্ঠ সমাজ গড়ার অঙ্গীকার সাধারণ মানুষের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন।