সাইফুল ইসলাম(৩২)ও পলাতক আসামি হলেন,পৌরসভার কুলাল পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল আলম(জিকু) (৩০)।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন(২বিজিবি) অধিনায়ক লেঃকর্নেল আশিকুর রহমান।তিনি জানান,রোববার(৩১আগস্ট)রাতে ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ আভিযানিক দল নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫হতে আনুমানিক৩.৫কিঃমিঃউত্তর-পশ্চিম দিকে মৌলভীপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় টহলকালে মাতব্বরপাড়া থেকে একটি মোটরসাইকেল আসতে দেখতে পায়।পরে মোটরসাইকেল চালক এবং দ্বিতীয় আসনধারী বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে তার কাছে থাকা মাদকের প্যাকেটটি পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে পেলে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাবার সময় মোটরসাইকেলসহ হাতেনাতে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।তার অপর সহযোগী রাতের আঁধারে গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়।এসময় পেলে দেওয়া পলিব্যাগে মোড়ানো প্যাকেটটি উদ্ধার করে খুলে২হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।মাদক পাচারে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে,জানা যায়,আটক মাদক ব্যাবসায়ী ও পলাতক আসামি মিলে উচ্চমূল্যে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যায়,তিনি এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বের মাদক মামলা রয়েছে।
এছাড়া অপর দিকে একইদিন সন্ধ্যা দমদমিয়া চেকপোস্টে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা হ্নীলা হতে টেকনাফগামী একটি সিএনজি(কক্সবাজার থ-১১-৬৬৫০)তল্লাশীর জন্য থামায়।বিজিবি সদস্যগণ এসময় সিএনজিটির পিছনের সিটে বসে থাকা একজন আরোহির আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে যাত্রীসহ সিএনজি’র অভ্যন্তরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশীর একপর্যায়ে পিছনের সিটের পা রাখার পাপোষের নিচে প্লাষ্টিকের প্যাকেটের ভিতর বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায়১০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ আটককৃত ও পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবং দেশকে মাদকমুক্ত রাখতে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।