ঢাকামঙ্গলবার , ১২ অগাস্ট ২০২৫
  1. সর্বশেষ

আমার চোখে ২৫ জুলাই

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ণ

Link Copied!

-মোসাঃ তানজিলা

চব্বিশের জুলাইয়ের প্রত্যেকটা দিন যেন আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস। রক্তচক্ষুর বাঁধা পেরোনোর ইতিহাস।
আমাদের তখন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে দিতে হয়েছিলো সর্বোচ্চ দম।

আমরা পারছিলাম না আর,সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া আর জানই ছিলো মুখ্য অস্ত্র আমাদের।

এমন করে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে পৌঁছে গিয়েছিলাম আমরা এক দফা আন্দোলনে। পাপের ঘড়া পূর্ণ হলে পড়ে যেতে হয় যেমন তেমনিভাবে রক্তচোষা হাসিনার নামার দিন ঘনিয়ে আসছিলো।

২৫ শে জুলাই তখন আমি মিরপুরে ছিলাম। ১৮ জুলাই এর পর মিরপুর ১০ নাম্বার ওভার ব্রীজে লাগা আগুন মেট্রোরেল ছাপিয়ে যাওয়ার দৃশ্য যেনো জানান দিচ্ছিলো গণহত্যাকারী,স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাও ঢেকে যাবে বাংলা থেকে কালো মেঘের আড়ালে। তবুও তার হত্যাযজ্ঞ, তান্ডব ছিলো বেশ কিছুদিন। তার মধ্যে ২৫ জুলাই মিরপুরের অবস্থা ছিলো যেন মৃত্যুপুরীর আবডালে মৃতদের হৈ চৈ।

সারাদেশে নেট বন্ধ হবার পর শনিবার থেকে মিরপুরের অবস্থা ছিলো কখনো নিরব, কখনো ধু ধু খেলার মাঠের মতো জনবিরল, কখনো সেনাবাহিনীর ঘোরাঘুরি আর হয়রানি সাধারণ মানুষদের।

নিজ চোখ সাক্ষী ছিলো চার পাঁচ জনকে একসাথে দেখলেই গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ানি দেয়া।এমনকি দুজন একসাথে হাঁটতে দেখলেও সরে যেতে বলছে।যেন পাগলা কুকুরের মতো খালি দৌঁড়ঝাপ, লাঠি চালানো বাছ বিচার নাই কোনো বৃদ্ধ নাকি শিশু, নাই বিবেকের মাথা মুন্ডুও।লোকজন খুবই কম ছিলো মেইন রাস্তাগুলোয়।চলছিলো কারফিউ, ১৪৪ ধারা জারি। দু একজন করে এমন রাস্তায় দেখতে পেলেও।আবার কখনো কাক ছাড়া মানুষ থাকতো না রোডে।

চা নাস্তার দোকান ছাড়া তেমন দোকানপাটও খোলা থাকত না।সেগুলো ও খুব অল্প সময়ের জন্য খোলা দেখা যেত। রিকশা,সিএনজি এগুলো ছিলো মোটামুটি। ভয়ে কেউ তেমন প্রাইভেট কারও নামাত না। পুলিশের গাড়িও ছিলো কিছু, দানবের মতো যেত বাঁশি বাজাতে বাজাতে।একটা কবিতার লাইন মাথায় আসত,শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো দানবের মতো চিৎকার করতে করতে। যেন বইয়ের পাতার ইতিহাস দেখেছিলাম চোখের সামনে। তবে অলিগলিতে মানুষ ভরপুর ছিলো কারণ সবার ই স্কুল কলেজ- মাদরাসা- অফিস কাজ বাজ সবই বন্ধ। যেন ছুটি পেয়েছে অফুরন্ত। এদিকে কারেন্টের কার্ড,গ্যাসের কার্ড ভরা নিয়ে নগরবাসির ভোগান্তির অন্ত নেই, পানি ও নেই, আছে শুধু স্বৈরাচারীট রাস্তা উন্নয়নের নমুনা।যেখানে তার বিবেকবর্জিত জানোয়ারগুলো ছুটে বেড়াত মানুষের রক্ত নিতে। চোখে ভাসছে যেন অকেজো মেট্রোরেলের ছায়া, একটু পিন ছুতোয় তা তো জিরোয় শুধু জিরোয়।

ঐ রাতগুলো ছিলো নির্ঘুম আঁধারে ছাপা। যেন কোনো পরিত্যক্ত শহরের এক কোঠরে পালিয়ে আছি সবাই।
এক আন্টি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি ছিলো ঐসময়।
তিনি শুক্রবার আমাদের বাসায় আসেন কারণ ঐদিন তার একটা টেস্ট করার কথা তা করা হয় নি।

হাসপাতালে ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছিলো না, সব সার্জন ডাক্তার রা জুলাই আন্দোলনে আহত-নিহত রোগী দেখতে ব্যস্ত ছিলেন।

আন্টির ভাষায়-মা রে আমার জীবনে ও এত লাশ, এত রক্ত দেখি নাই।তিনি অনেক কান্না কাটি করছেন এগুলা দেখে।

আর হাসপাতালে যারা ভর্তি ছিলো, একটু অবস্থা ভালো দেখলেই বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছিলো জায়গা নেই বলে।
২৪-তারিখও সে আমাদের বাসায় এসেছিলো।আসার সময় সেনাবাহিনীর কাছে অহেতুক জিজ্ঞাসাবাদের,হেনস্তার স্বীকার হইছে, রিকশা নিয়ে অনেক জায়গায় আটকাইছে।
সে তখন না যাইতে পারছিলো বাড়িতে না পাচ্ছিলো চিকিৎসা করাতে। কি কষ্টময় দিন ছিলো সেদিন। জুলাইয়ের প্রত্যকটা দিনই ছিলো অসুরের দিন।

২৫ জুলাই,২০২৪
#তাসু

106 Views

আরও পড়ুন

শান্তিগঞ্জে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগে উন্মুক্ত লটারি

দোয়ারাবাজারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেফতার

বোয়ালখালীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবার ডিলার সাজ্জাদ হোসেন হিরু ইয়াবাসহ আটক

কাপাসিয়ায় ‎সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

গর্জনিয়াকে শিশু শ্রম মুক্ত ইউনিয়ন বাস্তবায়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

শ্রীবরদীতে তারেক রহমানের নির্দেশে সেই ভাইরাল স্বামী-স্ত্রীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে হেল্থ অ্যায়ারনেস প্রোগ্রাম -২০২৫

জবি ছাত্রদলের দাবি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন

টেকনাফে পৃথক অভিযানে২কেজি গাঁজা ও ৩০হাজার ইয়াবা উদ্ধার,আটক-১

কাপাসিয়ায় ‎সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে দোয়ারাবাজারে কলম বিরতি পালন