মোঃ আবু সঈদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম খান এর যৌথ উদ্দ্যোগে উপজেলার সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) দুপুর ১২ ঘটিকা হইতে বিকাল ৩ ঘটিকা পর্যন্ত উপজেলার সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এ মেধা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মেধা যাচাই পরীক্ষায় উপজেলার ৯৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৫১০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। যার উপস্হিতির হার ছিল ৮৪%। শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিষয়ভিত্তিক পাঠ অনুশীলন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয়টি নির্ভর করে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং শিক্ষকতার প্রতি শিক্ষক-
শিক্ষিকাদের গতিশীল করার লক্ষ্যে যুগোগযোগী এই উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়। চলমান শিক্ষাবর্ষের ৩ মাস পূর্বে একটি সংক্ষিপ্ত কারিকুলাম প্রদান করা হয়। এই কারিকুলাম অনুসারে পাঠদানের ভিত্তিতে আজ মেধা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক পাঠ্যনুসারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ১ম,২য় ও ৩য় স্হানে পুরষ্কিত করা হবে। উপজেলাভিত্তিক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা, ক্লাস্টার ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক- শিক্ষিকা, বিষয়ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও
শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত করা হবে। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্হিতি বৃদ্ধি,
অভিভাবকদের উৎসাহিত এবং শিক্ষক-
শিক্ষিকারা পাঠগ্রহণ,পাঠদান ও সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।
জানা যায়, উক্ত মেধা যাচাই পরীক্ষায় উপজেলার কামরুপদলং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উজানীগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিঠাপই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কসবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
উপজেলার কামরুপদলং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানিকলাল চক্রবর্তী বলেন, এ মেধা যাচাই পরীক্ষা উপজেলার সকল শিক্ষকদের উৎসাহিত করেছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে এরকম পরীক্ষা নেয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম মিঞা বলেন, আমরা সকল শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে গ্রহণ করেছি। তাদের মেধার ভিত্তিতে শিক্ষকদের মূল্যায়িত করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সেলিম খান বলেন, শিক্ষার্থীদের এ মেধা যাচাই পরীক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এতে উপজেলা ভিত্তিক ক্লাস্টার ভিত্তিক ও বিষয়ভিত্তিক পাঠদানকারী শিক্ষকদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, নির্বাচিত করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো: ফজলে রাব্বানী চৌধুরী বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সচরাচর আমরা শিক্ষার্থীদের ফলাফল জানতে পারি, কিন্তু এবার আমরা একটি নতুন পদ্ধতিতে সারা উপজেলার শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন দ্বারা পরোক্ষভাবে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়নের একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছি। এতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি মোট রেজাল্টের উপর প্রভাব বিস্তার করার ব্যবস্থা থাকায় শিক্ষকগণও অধিক সংখ্যক পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার প্রতি আগ্রহী ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন,
এ মেধা যাচাই পরীক্ষার জন্য আমরা ৩ মাস পূর্বে একটি শর্ট সিলেবাস দিয়েছিলাম। এ সিলেবাসের ভিত্তিতে শিক্ষকরা ৩ মাস অনুশীলনের পর আজ আমরা পরীক্ষা নিয়েছি। এটা উপজেলার সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে। আমরা শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং বিষয়ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করবো। আশা করি ইহা উপজেলায় শিক্ষাক্ষেত্রে সাড়া জাগাবে।