ঢাকাবুধবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  1. সর্বশেষ

দেশীয় পোনামাছ নিধন বন্ধ করতে হবে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

ওবায়দুল মুন্সী :

দিন দিন আমাদের মিটাপানির দেশীয় লোকাল মাছ কমে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী মাছ বাজারগুলো গেলে দেখা যায়, চাষের মাছে বাজার সয়লাব কিন্তু দেশীয় মাছ নেহায়েত কম। তার কারণ-হাওরাঞ্চলে মাছের অভয়ারণ্যের পর্যাপ্ত জলাভূমি নেই! যেগুলো আছে,ঠিকমতো পরিচর্যা ও প্রশাসনিক তদারকির অভাবে ঠিকভাবে মাছের বংশবিস্তার হচ্ছে না।

এদিকে বিলবাদাল শুকিয়ে মাছ ধরার কারণে আস্তে আস্তে দেশি মাছের সংখ্যাও কমে আসছে। মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

চৈত্রের শেষে যখন বৃষ্টি শুরু হয় তখন খাল-বিল, নদী-নালা, হাওর-বাঁওড় ও বিভিন্ন জলাশয়ে পানি জমতে থাকে এবং মা মাছগুলো ডিম ও পোনা ছাড়ে। বৈশাখ মাসে এই পোনামাছ বাড়তে থাকে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কিছু বিকৃত বুদ্ধিসম্পন্ন, অসাধু ও অসচেতন মানুষ এই ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছের ঝাঁক নির্বিকারে নিধন করে আসছে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জাল, সুতি জাল ব্যবহার করে প্রকাশ্যে চলে এ নিধনযজ্ঞ এবং বাজারে বিক্রিও হয় চড়া দামে।

রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৯ টায় পাগলা বাজার থেকে খেয়াযোগে মহাসিং নদী পাড়ি দিয়ে কাদিপুর আসছিলাম। নদীতে বিরাট নেটের জাল ফেলেছে স্থানীয় জেলেরা। যে জালে মাছের ডিম সহ উঠে আসে। অনেকটা আবেগের বশেই জেলেদের বলেছিলাম-‘ভাইয়েরা একটা মাস পর জালটা ফেলতেন!তাহলে তো মাছের ডিমগুলো থেকে অনেক পোনা বের হতো। এতে নদীতে মাছে ভরে যেত।’

জবাবে, জেলেরা বললো-“ঠিকাছে, আমরা একমাস নয়!তিন মাস জাল ফেলবো না। এই তিন মাস আপনি আমাদের খাওয়াতে পারবেন?” আমি নিরোত্তর ছিলাম।

ঠিকই তো! জেলেদের এই পেশাকে বন্ধ করে দিলে,পরিবার নিয়ে চলবে কীভাবে। তাহলে বুঝা গেলো,মাছের প্রজননকালীন সময়ে জেলেদের ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারলে তবেই তিন মাস মাছ ও পোনা নিধন বন্ধ হতে পারে। এবিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন সরকারকে জরুরিভাবে অবহিত করতে পারেন।

মা মাছ নিধন মানে দেশের ক্ষতি দশের ক্ষতি। পোনামাছ ধরা থেকে বিরত থেকে তাদের বড় হতে দিতে হবে। এই মাছগুলোই এক বছরের খাবার হয়ে ফিরে আসবে। তাই আসুন, মাছের প্রজন্ম রক্ষায় আমরা সচেতন হই।

মাছের এই প্রজনন সময়ে হাওরাঞ্চলের জলাভূমিগুলো পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পাহারা বসানো যায় এবং পেশাজীবী জেলেদের ত্রৈমাসিক ভাতার ব্যবস্থা করে লাগাতার তিন বছর এভাবে রাখতে পারলে আবারও দেশি মাছে হাওর ভরে যাবে। আমরা আবারও মাছেভাতে প্রকৃত বাঙালি হবো।

পরিশেষে বলবো আমরা লেখকরা শুধুই লিখে যাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে সরকার কর্তৃক প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও গুরুত্ব না দিলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। দেশের হাওরাঞ্চলের মৎস্য কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক
সদস্য,হাওর বাঁচাও আন্দোলন,সুনামগঞ্জ।

56 Views

আরও পড়ুন

আঙ্গরে বাড়ি কাছে কোন স্কুল নাই ; আঙ্গরে স্কুল ফিরিয়ে দিন

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়মের অভিযোগে দুদক ও বিভাগীয় তদন্ত টিমের অভিযান

প্রয়াত মায়ের সঞ্চয়ের টাকায় প্রতিবেশিকে সাবমারসিলবল কিনে দিলেন আইউবী

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চান্স পেল পাঙাল সম্প্রদায়ের কৃতি শিক্ষার্থী তামান্না

সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে সুবিপ্রবি’র সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি

কমলগঞ্জের তামান্না রেজা চান্স পেলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে

মাছের চর ও কাকড়ার চর দখল নিয়ে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: নীরব মহামারির পথে?

টেকনাফে অপহৃত উদ্ধার,অস্ত্র-গুলিসহ অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য আটক

নার্সিং শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিস্ট বলা মূর্খতা 

নব প্রতিষ্ঠিত কাপাসিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওরিয়েন্টেশন

কানাডার জীবন: নেতিবাচক দিক