রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুর :
জামালপুরের ইসলামপুরের সাপধরী ইউনিয়নে দূর্গম যমুনা চরাঞ্চলের চেঙ্গানিয়া গ্রামের নিরীহ কৃষকদের উপর নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাঠমা গ্রামের মো: ওয়াহেদুজ্জামানের দায়ের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মিথ্যা মামলা ও ভূয়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাহারের দাবীতে শুক্রবার দুপুরে চেঙ্গানীয়া যমুনা চরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানাগেছে,ইসলামপুরের কাঠমা কৃষ্ণনগর মৌজার দূর্গম চরাঞ্চলের ফসলি ভূমির মালিকানা ও দখল নিয়ে স্থানীয় কাঠমা ও চেঙ্গানিয়া গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।
চরাঞ্চলের নিরীহ কৃষকদের নিজ বসতভিটা ও তাদের জন্মভূমি থেকে বিতারিত করতে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাঠমা গ্রামের ওয়াহেদুজ্জামান গত ২১ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন। সি.আর মামলা নম্বর – ৩৯(০১)২০২৫, তারিখ- ১৪/০১/২০২৫ ইং। ওই মামলায় কাঠমা গ্রামের মো: লাঞ্জু,মো: অদু,মো: হাছান আলী,এবং সাপধরী ইউনিয়নের চেঙ্গানিয়া গ্রামের আব্দুল হক বাক্কা,হেকমত আলী,লোকমান আলী ও সৈয়দুজ্জামান সহ ১৯ জনকে নামীয় এবং ১৬ জনকে বেনামীয় উল্লেখ করে মোট ৩৫ জনকে আসামী করা হয়।
আসামীদের বিরুদ্ধে কাঠমা কৃষ্ণনগর মৌজায় থাকা তার নিজের ও মামলার সাক্ষীদের ভোগ দখলীয় ৫০ একর পৈতৃক ভূসম্পত্তি জবর দখলসহ ওই জমিতে তাদের চাষ করা অন্তত:৩৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪শ টাকা মুল্যের মরিচ, পিঁয়াজ,বাদাম ও মাস কালাইসহ বিভিন্ন ফসল জোর পূর্বক তুলে নেওয়ার কথা লিপিবদ্ধ করা হয়। মামলাটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন,বানোয়াট ও সাজানো নাটক বলে দাবী জানান চেঙ্গানিয়া গ্রামের বিক্ষোভকারী নিরীহ কৃষক ও এলাকাবাসী।
নিরীহ কৃষক হেকমত প্রামানিক,লোকমান আলী,হামিদ ও সৈয়দুজ্জামান বলেন- মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার এস আই আব্দুল হাই কোন প্রকার সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই আদালতে ভূয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। মূলত পৈতৃক ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ করার উদ্যেশ্যে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ সময় এলাকাবাসী মামলাটি পূণরায় তদন্ত ও সঠিকতা যাচাই করে সঠিক প্রতিবেদনের দাবী জানিয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ইসলামপুর থানা এস আই আব্দুল হাই এর সাথে মোঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ব্যাপারে ওসি স্যারে সাথে কথা বলেন।