মো: জামিন মিয়া, ঢাকা :
“১৬১০ সালে ঢাকা প্রথম রাজধানী ছিলো না।ঢাকা এর পূর্বেও কয়েকবার রাজধানী ছিলো।মির্জা নাথানের উল্লিখিত ঢাকার সেই পুরোনো প্রাসাদ দুর্গটি নিয়ে বিশদ গবেষণা করলে রাজধানী ঢাকাকে নতুন করে জানা সম্ভব।”
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রাঙ্গনে অবস্থিত এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘরের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও লেকচার বক্তৃতা অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা গুলো বলেন।
তার লেকচার বক্তৃতার শিরোনাম ছিলো “পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন:ঢাকার গোড়াপত্তনের বিশ্লেষণ”। অধ্যাপক মুস্তাফিজ বলেন,”পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত প্রাসাদ দুর্গটি সুলতানী আমলে নির্মিত হয়েছিলো এবং মুঘল যুগ পর্যন্ত দুর্গটি ব্যবহৃত হয়েছিল”। এসময় তিনি দাবি করেন যে,আজকের রাজধানী ঢাকা প্রাচীন বিখ্যাত সিল্ক রুটের সাথে যুক্ত ছিলো।
উক্ত অনুষ্ঠান ও লেকচারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিথযশা আর্ট হিস্টরিয়ান ড. হাবিবা খাতুন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান সকলের উদ্দেশ্যে স্বগত বক্তব্য পেশ করেন এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান তার বক্তব্যে বলেন, ” এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘর বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির একটি গর্বের প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ।”
প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর প্রধান অতিথি ড. হাবিবা খাতুন অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশের একটি অগ্রণী গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বিগত সাত দশক ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি এশিয়ার মানুষ, তাদের জীবন ও কীর্তি-কর্ম, ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও দর্শন বিষয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।উক্ত অনুষ্ঠানে সোসাইটির সম্মানিত ফেলোবৃন্দ, কাউন্সিল সদস্যবৃন্দ, সোসাইটির সম্মানিত সদস্য, এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘরে নিদর্শন উপহার দাতাবৃন্দ সহ দেশবরেণ্য অধ্যাপক, লেখক ও গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।