রাকিবুল আওয়াল পাপুল,শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টহল গাড়ির চাপায় অনন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আজ ৪ আগস্ট রোববার বিকেলে শহরের খড়মপুর এলাকার এ নিহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের ছাত্র ও জেলা শহরের বাগরাকশা মহল্লার বাসিন্দা তুষার (২৪), আইটি উদ্যোক্তা জেলা সদরের পাকুড়িয়া চৈতনখিলার মাহবুব (৩০)। অন্যজনের নাম এখনো জানা যায়নি।
জানা যায়, বেলা ৩টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা শহরের খোয়ারপাড়, শেরপুর সরকারি কলেজ গেট ও খড়মপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে খড়মপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টহল গাড়ি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় চাপা দিলে কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে আহত হন। পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনজন শিক্ষার্থী মারা যান। পরে তাঁদের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে হামলা চালানো হয় পুলিশ সুপারের বাসভবন, সিভিল সার্জনের বাসভবন, পুলিশ সুপার শপ, খোয়ারপাড় পুলিশ বক্সে, সদর থানা, আনসার ক্যাম্প ও ফায়ার সার্ভিসসহ জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে। হতাহতের পর থেকেই আন্দোলনকারীরা চারদিক থেকে শহরে চলে আসায় এখন পুরো শহর তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।