বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন ১০ তলাবিশিষ্ট শহীদ এম. এইচ. এম. কামরুজ্জামান হলের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে তিনজন আহত শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হতাহতের আশঙ্কা আরো রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মরত শ্রমিকরা। এ ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান হলের নির্মাণাধীন ছাদের একটি অংশ ধসে পড়েছে। এই ঘটনায় ৮টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট কাজ করছে। এই ঘটনায় তিনজনকে আমরা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ কাজে অংশ নেওয়া সকল শ্রমিককে আমরা পেয়েছি। কিন্তু দুজন কন্ট্রাক্টরকে আমরা পাচ্ছি না। তারা পালিয়েছে নাকি চাপা পড়েছে এজন্য উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। উদ্ধার অভিযান শেষ হলে সেটি বলা যাবে।
তিনি আরো বলেন, নির্মাণ ত্রুটির কারণেই রাবির হলের ধস হয়েছে। আরা যারই দোষ হোক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস রাবি কর্তৃপক্ষের।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে। আহতরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকার শাহ জামালের ছেলে আজাদুল (৩৫) চাপাইনবাগঞ্জ জেলার অনুপ নগর এলাকার মাহাবুবের ছেলে সিফাত(২২) ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মৃত আঃ সামাদের ছেলে সিহাব (২৫)। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কর্মচারীদের থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ১২ জন কর্মচারী ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে ধসে পড়ে ছাদটি। এসময় তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভবনের নিচে আর কেউ চাপা পড়ে আছে কিনা তা উদ্ধারে কাজ করছ ফায়ার সার্ভিস। নির্মাণ ত্রুটির কারণে এই ধস বলছে ফায়ার সার্ভিস। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন,এই ঘটনায় যারাই দায়ী থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রাবির এ উপ- উপাচার্য ।
এদিকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ শেষ করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। কংক্রিট ও লোহা একসঙ্গে ভেঙে পড়ার কারণে উদ্ধার ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে উদ্ধারকার চেষ্টা পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে না।